Menu
ঢাকা : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার মাত্র একদিন পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে যুক্ত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। জেলেনস্কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। হোয়াইট হাউস তাদের এই সংলাপকে ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল, যার পর থেকে তারা আর সরাসরি কথা বলেননি। কিন্তু গতকাল অনুষ্ঠিত ফোনালাপে প্রথমবারের মতো তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। এই ফোনালাপে জেলেনস্কি ট্রাম্পের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সৌদি আরবে শান্তিচুক্তির আলোচনায় কারিগরি দলের ভূমিকা নিয়ে দুই নেতা একমত হন।
হোয়াইট হাউস জানায়, জেলেনস্কি রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ট্রাম্পের কাছে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইউরোপ থেকে প্রয়োজনীয় সামরিক সহায়তা পেতে সহায়তা করবেন।
এদিকে, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে পুতিনের সঙ্গে তার ফোনালাপের বিষয়ে জেলেনস্কিকে অবহিত করা হয়। ওই আলোচনায় ট্রাম্পের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পুতিন প্রত্যাখ্যান করেন, যদিও ইউক্রেন তাতে সম্মতি জানিয়েছিল। তবে পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব না মানলেও ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধে সম্মত হন।
কিন্তু বুধবার নতুন করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় দুই দেশ ১৭৫ জন করে বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। মস্কো জানিয়েছে, তারা শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে আরও ২২ জন আহত ইউক্রেনীয় বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
ফোনালাপ শেষে জেলেনস্কি এটিকে ‘ইতিবাচক ও খোলামেলা’ আলোচনা বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি ট্রাম্পকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, কিয়েভ যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে এবং রুশ অবকাঠামোর ওপর হামলা থেকে বিরত থাকতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT