Menu
ঢাকা : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইমামোগলুকে আটক করার পর থেকে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে সমর্থকরা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
২২ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট এরদোগান আগামী ২০২৮ সালে আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না, কারণ তার বিরুদ্ধে আইনি বাধা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলুর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দেশটিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এই গ্রেপ্তারকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ইমামোগলুর মুক্তির দাবিতে রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও অন্যান্য শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করে। তাদের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই গ্রেপ্তার করেছে এবং এরদোগানের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
তুরস্কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও, পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার, ইস্তাম্বুলে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পথে নামেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও পিপার গ্যাস ব্যবহার করে।
এছাড়া, দেশজুড়ে বিক্ষোভের পর কর্তৃপক্ষ জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা তা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে, সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, ‘জনসাধারণের মাঝে ঘৃণা ও শত্রুতা উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT