• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩০

ইউক্রেনের পর রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
ইউক্রেনের পর রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা : ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সৌদি আরবে সোমবার ফের আলোচনায় মিলিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দল। এর আগে গত মাসেও দুই দেশের প্রতিনিধি দল আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনা নিয়ে লুকোচুরি করছে দুই পক্ষই। রিয়াদের যেখানে বৈঠক হতে যাচ্ছে- সেই রিটজ-কার্লটন হোটেল থেকে সাংবাদিকদের বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার সঙ্গে এবারের আলোচনা শুরুর আগে গত রবিবার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের। সেখানে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরেভ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বৈঠকটিকে লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকরী হিসেবে উল্লেখ করেছেন উমেরেভ। জানিয়েছেন নিজের সন্তুষ্টির কথা।

সংঘাতের মধ্যেও ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশেরই জ্বালানি সুবিধা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়- সেই বিষয়ে কারিগরী আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উমেরেভ।

এ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের পথগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ক্রেমলিনও এমন একটি চুক্তির বিষয়ে আগ্রহী বলে দাবি করেছেন তিনি। তার মতে, এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে পুরো বিশ্বে খাদ্য শস্য রপ্তানি করতে পারবে ইউক্রেন।

উমেরেভ এও দাবি করেন, অঞ্চলটিতে একটি ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যে লক্ষ্য- তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

এর আগে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা না চালানোর বিষয়ে একমত হলেও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের অনীহা রয়েছে।

ক্রেমলিন মনে করে, যদি ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়- তাহলে যুদ্ধের ময়দানে কোনঠাসা ইউক্রেন শক্তি সঞ্চয়ের সময় পাবে। তবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে ক্রেমলিনের যে আপত্তি নেই- তাও ট্রাম্পকে জানিয়েছেন পুতিন। সেক্ষেত্রে তা রাশিয়ার দেওয়া শর্তেই হতে হবে।

পুতিন বরাবরই বলেছেন, স্থায়ী শান্তি চাইলে অবশ্যই ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যভুক্ত হবে না- এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে। এ ছাড়া রুশ সেনাদের দখলকৃত অঞ্চল রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

এদিকে শান্তির প্রচেষ্টা চলমান থাকলেও ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় পক্ষই একে অপরের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। রবিবারও ৯৯টি ড্রোন দিয়ে কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এতে পাঁচ বছরের এক শিশু সহ তিন জন নিহত হন।

রুশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, একই দিন ইউক্রেন সীমান্ত থেকে উড়ে আসা ২৮টি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!