Menu
ঢাকা : ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পর থেকেই আন্দোলন ও তোপের মুখে পড়েছে এরদোয়ান সরকার।
গত এক দশকের মধ্যে এত বড় বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক দেখা যায়নি। এবার তুরস্কের সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা বয়কটের ডাক দিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা-গ্রেপ্তারের হুমকি উপেক্ষা করে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হয়েছেন ইমামোগলুর সমর্থকরা। বিরোধী দলগুলোর এই বাণিজ্য বয়কটের নিন্দা করেছে তুরস্কের ক্ষমতাসীন সরকার।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিরোধী দলগুলোর বাণিজ্য বয়কটের আহ্বানকে অর্থনীতির বিরুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞের চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছে এরদোয়ানের সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত দাবি করেছেন, বয়কটের আহ্বান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং এর পেছনে থাকা ব্যক্তিরা সরকারকে দুর্বল করতে চান।
তিনি বলেন, এটি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা এবং এতে অসৎ বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতার উপাদান রয়েছে। আমরা এটিকে এমন কিছু মহলের বৃথা প্রয়াস হিসেবে দেখি, যারা নিজেদের এই দেশের মালিক মনে করে। উপরাষ্ট্রপতি সেভদেত ইয়িলমাজ বলেন, এই আহ্বান সামাজিক সম্প্রীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। যেভাবেই হোক, আমরা এটি প্রতিহত করব।
গত ১৯ মার্চ মেয়র ইমামোগলুকে আটক করার পর প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোম্পানিগুলোর পণ্য ও সেবা বয়কটের ডাক দেয়। গত বুধবার এই বিক্ষোভ আরও বিস্তৃত হয়ে এক দিনের জন্য সব ধরনের কেনাকাটা বন্ধের ঘোষণায় রূপ নেয়। বিরোধী দলের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনেকেই তাদের দোকান বন্ধ রাখেন। ইমামোগলু এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও দেশটির পরবর্তী নির্বাচনে সিএইচপির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন।
সিএইচপির চেয়ারম্যান ওজগুর ওজেল এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩২টিতে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT