ঢাকা: ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৯ মার্চ নির্ধারিত সময়েই নেবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চাকরিপ্রার্থীরা করোনা পরিস্থিতিতে বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানালেও পিএসসি আগের সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন সোমবার (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১৯ মার্চ এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই আছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এই পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবিতে আজ রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করেছে ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ৷
মানববন্ধন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে চলে দেড়টা পর্যন্ত। এতে অংশ নিয়েছেন ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, অনেক পরীক্ষার্থী তাদের দাবির সঙ্গে একমত।
মানববন্ধনে ‘করোনাকালীন সব পরীক্ষা পেছালেও বিসিএস কেন নয়‘ , ‘জীবনের জন্য বিসিএস, বিবিএসের জন্য জীবন নয়’, ‘বিসিএস পেছাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই’—লেখা ফেস্টুন শোভা পায়।
এ সময় পরীক্ষার্থীরা বলেন, ৪১তম বিসিএসের নির্ধারিত তারিখ ১৯ মার্চ৷ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কম থাকায় পিএসসি এ তারিখ দিয়েছিল৷ তাই আমরা তারিখটিকে স্বাগত জানিয়েছিলাম৷ এখন যেহেতু করোনা সংক্রমণের হার আবার বেড়েছে, হল বন্ধ, সবাই বাড়িতে অবস্থান করছেন, তাই তারিখ পেছানো দরকার৷
পরীক্ষার্থীরা আরও বলেন, করোনা মহামারির কারণে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলও বন্ধ৷ এর উদ্দেশ্য— করোনা যাতে না ছড়ায়৷ তা হলে আমরা যারা চাকরির পরীক্ষার্থী, তাদের কি জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই?
তবে পিএসসির যুক্তি হলো— এমনিতেই চারটি বিসিএসের জট লেগেছে। এ ছাড়া এই পরীক্ষাটি শুধু ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে না; দেশের বিভিন্ন এলাকায় হবে। স্বাস্থ্যবিধিও কঠোরভাবে মেনে পরীক্ষাটি নেওয়া হবে। সার্বিক দিক বিবেচনায় কমিশন পরীক্ষাটি নির্ধারিত সময়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবার ৪১তম বিসিএসে আবেদন করেছেন প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ চাকরিপ্রার্থী।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :