ঢাকা : একাত্তরের ২১ মার্চ পলোগ্রাউন্ড ময়দানে দেওয়া ভাষণে মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করে তা মেনে নেওয়ার জন্য ইয়াহিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। একই দিন অস্ত্রবোঝাই জাহাজ সোয়াত চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলেও শ্রমিকরা সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাসে অস্বীকৃতি জানান।
বন্দর থেকে ষোলশহর পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শ্রমিক-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বন্দরের এক ক্ষুব্ধ ডক শ্রমিক সোয়াত জাহাজ থেকে ২৪ মার্চ অস্ত্র খালাস হবে- এমন তথ্য পৌঁছে দেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নানের কাছে।
তিনি বিষয়টি ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানালে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আসে- কোনোভাবেই সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে দেওয়া যাবে না এবং জাহাজের পাকিস্তানি সৈন্যদেরও নামতে দেওয়া যাবে না।
চট্টগ্রামের তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে জহুর আহমদ চৌধুরী, মজিদ মিয়া, ইসহাক মিয়া, আতাউর রহমান খান কায়সার, আবদুল্লাহ আল হারুন, আবু সালেহ, এসএম জামালউদ্দিন, মোহাম্মদ হারিছ মিয়া সভা-সমাবেশে সোয়াত জাহাজে করে অস্ত্র আনার বিষয়টি তুলে ধরে জনতাকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান। ২৪ মার্চ বিকাল ৪টায় সোয়াত জাহাজ অবরোধের ডাক দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কলোনির মাঠে সমাবেশ ডাকা হয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :