ঢাকা : এমন অনেক খাবার আছে যা ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে, তবে কিছু খাবার এ কাজে অন্যগুলোর চেয়ে বেশি কার্যকর। যদিও রক্তে শর্করা কমানোটা অনেকটা নির্ভর করে শরীরের ওজন, পরিশ্রম, মানসিক চাপ বা জেনেটিক্সের ওপর। তবে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা এমন ১০টি খাবার নিয়ে আলোচনা করব যা রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে।
১. কুমড়া ও কুমড়ার বীজ : কুমড়া ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রোটিন ও হেলদি ফ্যাট। কুমড়া রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কার্যকর সবজি। অনেক দেশে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কুমড়া ব্যবহার করা হয়।
২. মটরশুটি এবং মসুর ডাল : ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ মটরশুটি এবং মসুর ডাল রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারে যে ফাইবার এবং স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকে যা ধীরে ধীরে হজম করতে সাহায্য করে।
৩. আদা : পেটের জন্য অনেক উপকারী এবং হজমে সহায়তার জন্য সুপরিচিত একটি উপাদান আদা। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সমান করার জন্যও একটি দুর্দান্ত বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড সায়েন্সেস অ্যান্ড নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের একটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং লিপিড প্রোফাইলের কিছু ভগ্নাংশ উন্নত করতে পারে।
৪. রসুন : অনেক পরিচিত একটি মসলা হচ্ছে রসুন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এটি রক্তের শর্করা কমাতে অনেক কার্যকরী। রসুনে থাকা হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস আমাদের রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি বহু বছর ধরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৫. চেরি : বিদেশি এই ফলটি রক্তের শর্করা কমাতে অনেক কার্যকরী হিসেবে কাজ করে। ২০০৪ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব নারী চেরি থেকে অ্যান্থোসায়ানিন উপাদান বেশি খেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে প্রদাহ ও ইনসুলিন প্রতিরোধী সৃষ্টি হয়েছিল।
৬. চিয়া সিড : বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাদের ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাদের জন্য দারুণ উপকারী চিয়া সিডস। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৭. বাদাম এবং বাদামের মাখন : বাদামের উপকারিতা অনেক। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাদামের পাশাপাশি বাদামের তৈরি মাখন টাইপ টু ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৮. ডিম : নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রক্তে শর্করা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এতে থাকা উপকারী উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমেও রয়েছে অনেক উপকারিতা। তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই ডিমের কুসুম খাবেন।
৯. লেবু জাতীয় ফল : লেবু জাতীয় ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে। এসব ফলে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা হার্টকে ভালো রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন চারটি কমলা খেলে হার্ট ভালো থাকে।
১০. আপেল : কথায় আছে— প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে। আপেলের উচ্চ মাত্রার ফাইবার ও উপকারী এ্যসিড রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সূত্রঃ হেলথলাইন ডট কম।
এমটিআই