ঢাকা : সময়ের সাথে সাথে জীবন ও সামনে এগোচ্ছে, আর সেটি মাথায় রেখেই চলতে হবে আমাদেরকে। স্বপ্নের সাগরে না ভেসে বাস্তবতার ভিত্তিতে নতুন বছরের লক্ষ্য নির্ধারন ও লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখা।
প্রতি বছর ক্যালেন্ডারের দিন ঘুরে ফিরে শেষ হয় ডিসেম্বর। আসে আরেকটি নতুন বছর। সবকিছুরই প্রথম মানে বিশেষ। আর সেটি বছরের প্রথম দিন হলে তো কথাই নেই। এই দিন সবাই বিশেষ করে রাখতে চায়।
কখনো মনে হয়, নতুন বছর ভালো কিছু বয়ে আনবে। আবার কখনো ভয় হয়, পুরোনো অনেক কিছুই হারিয়ে যাবে না তো?
সময়ের সাথে সাথে জীবন ও সামনে এগোচ্ছে, আর সেটি মাথায় রেখেই চলতে হবে আমাদেরকে। স্বপ্নের সাগরে না ভেসে বাস্তবতার ভিত্তিতে নতুন বছরের লক্ষ্য নির্ধারন ও লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখা উচিত। আর স্বপ্ন পূরণের চেষ্টাই নতুন বছরে এনে দিতে পারে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি আর সমৃদ্ধি।
১. নতুন বছরের পরিকল্পনা ঠিক করুন : যেকোনো কিছুর পরিকল্পনা থাকলে তা আরও সুন্দরভাবে চলতে থাকে। তাই সারা বছরের পরিকল্পনা শুরুতেই করে ফেলুন। আর সম্ভব হলে বছরের প্রথম দিনেই তা লিখে রাখুন আপনার ডায়েরির পাতায়। এরপর সেই অনুযায়ী এগিয়ে যান। এতে আপনার লক্ষ্য পূরণ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। বছরের শেষে সফলদের তালিকায় দেখতে পাবেন নিজেকে।
২. বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করুন : অনেকেই আছেন যে চিন্তা-ভাবনা না করেই হুটহাট পরিকল্পনা করে বসেন আর বছর শেষে ঠিকঠাক ভাবে কাজ হয় না বললেই চলে। তাই নতুন বছরের লক্ষ্যগুলো বাস্তবিক উপায়ে নির্ধারণ করা উচিত। এমন কিছু লক্ষ্য নির্ধারন করা উচিত, যার জন্য ভালোভাবে কাজ করলে পূরণ করা সম্ভব। এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করলে সেটা পূরণ করার মনোবল নিয়েই নির্ধারণ করা উচিত।
৩. নতুন কোনো দক্ষতায় হাতেখড়ি : আধুনিক বিশ্বে নিজেকেও প্রাসঙ্গিক ও দক্ষ রাখতে চাইলে নতুন কোন দক্ষতায় দক্ষ হয়ে ওঠা উচিত। তাই বছরের শুরু থেকেই আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন কাজে বা কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। অথবা নিজে থেকেই চর্চা শুরু করে দেওয়া যায়।
এছাড়া বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিডিও দেখে, নিজে অনুশীলনের মাধ্যমেই অনেক বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠা যায়। চাইলে যেকোনো সময়েই এই শুরুটা করা যায়, কিন্তু বছরের শুরুটাকে উপলক্ষ করলে নিজের মধ্যে উৎসাহের পরিমাণ বেশি থাকে, কাজে সফল হবার সম্ভাবনাও বেশি।
৪. মানবিক কাজ করুন : মানবিক কাজ সর্বদা মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। বছরের শুরু বিশেষ করে রাখতে চাইলে মানবিক কোনো কাজে ব্যয় করতে পারেন। দরিদ্রদের সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার দেওয়া, বৃদ্ধাশ্রমে বা এতিমখানায় গিয়ে কিছুটা সময় কাটানো, গাছ লাগানো এ ধরনের কাজ করতে পারেন। চাইলে এই দিনটি রক্তদানের জন্যও বেছে নিতে পারেন। এতে দিনটি বিশেষ হয়ে থাকবে।
৫. সম্পর্ক মজবুত করুন : নতুন বছরে কাছের মানুষ, পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত করার দিকে মনযোগী হন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের মঙ্গল কামনা করে শুভেচ্ছা পাঠান। সম্পর্কে বিশ্বাস, আস্থা, প্রত্যাশার প্রতিফলন, ইতিবাচক মনোভাব ও সম্মান বজায় রাখুন যাতে করে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। দাম্পত্য সম্পর্কে একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা ইতিবাচকভাবে বজায় রাখুন যাতে করে নতুন বছরের সূচনা সুন্দর ও সাবলীল হয়।
এমটিআই