• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

ইফতারে কী খাবেন কী খাবেন না


লাইফস্টাইল ডেস্ক মার্চ ১৫, ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
ইফতারে কী খাবেন কী খাবেন না

ঢাকা: রমজানে খাদ্যাভ্যাস হতে হবে সুষম ও সুনিয়ন্ত্রিত। তাই রমজানে ইফতারের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ।

রমজান মাসে বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অতিরিক্ত তেল-চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ করার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম-যদি আপনার বিভিন্ন রোগ থাকে, তাহলে রোগের পরিমাণ বা রোগ তুলনামূলকভাবে বেড়ে যেতে পারে, যদি আপনি অনিয়ন্ত্রিত বা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন।

 >> খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। খেজুর শর্করা জাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। খেজুরের মধ্যে শর্করা ছাড়াও প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে।

৪টি মাঝারি সাইজের (৩৫ গ্রাম) খেজুরের মধ্যে প্রায় ১০০ ক্যালোরি থাকে। ইফতারিতে ৪-৫টি খেজুর খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা মেপে তবেই খেজুর খাবেন। না হলে বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস।

>> ফলের মধ্যে ইফতারে কলা রাখা জরুরি। একটি কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালোরি থাকে। ১টি কলা রাখুন ইফতার মেন্যুতে।

>> ছোলা ও বুট খাওয়া যেতে পারে। ৫০ গ্রাম ছোলা-বুটে প্রায় ১৮০ ক্যালোরি রয়েছে। ছোলা-বুট অল্প পরিমাণে খাবেন। ২০-২৫ গ্রাম এর চেয়ে বেশি না। কারণ এটা পরিপাক হতে দীর্ঘ সময় লাগে।

>> একটি ডিম খেতে পারে, একটি ডিম থেকে পাওয়া যায় ৮০ ক্যালোরি।

>> অন্যান্য ফল যেমন- তরমুজ, আপেল, কমলা এসব পানিশূন্যতা রোধে উপকারী।

>> ডাবের পানি, ইসুবগুলের ভুসি, লেবুর শরবত ইত্যাদি পান করুন। এগুলোও রোধ করবে পানিশূন্যতা।

ইফতারে যা পরিহার করবেন-

>> ইফতারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা ডুবো তেলে ভাজা খাবার যেমন- পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি পরিহার করুন। এই খাবারগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে।

>> একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলবেন না।

>> টকজাতীয় ফলে যদিও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, তারপরেও টকজাতীয় ফলে সাইট্রিক অ্যাসিডও থাকে। তাই রোজার সময় টক ফল বেশি খাবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় রাতের খাবার শেষ করে ফল খেলে।

>> টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড থাকে, যা ইফতারে খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া তৈরি করে। তাই টমেটো বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।

>> ঝাল খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই কাঁচা মরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে।

>> গরম খাবার যেমন চা, কফি ইত্যাদি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার সময় চা, কফি ইত্যাদি পরিহার করুন।

এআর

Wordbridge School
Link copied!