ঢাকা : গরমে বেশিরভাগ মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় প্রচুর পরিমাণে ঘাম হওয়ার কারণে শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগে। কাজ করতে ইচ্ছে হয় না।
গরমকালে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়, তাছাড়া দিন বড় হয়ে যাওয়ার ফলে গভীর ঘুমও কমে। সব মিলিয়ে বাড়ে ক্লান্তি এবং ঘুম ঘুম ভাব।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গরমে কায়িক পরিশ্রমের সময়ে যেমন ক্যালোরি পোড়ে, তেমন শরীর থেকে প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি খনিজও বেরিয়ে যায়। সব মিলিয়ে বাড়ে অবসাদ ও ক্লান্তি।
কিন্তু এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে তৎক্ষণাৎ এনার্জি পাওয়া যায় শরীরে। চলুন জেনে নেই এসব খাবার কি কি?
১. কালো কিশমিশ : সারা দিন পরিশ্রমের পর খুব ক্লান্ত লাগলে ১০-১২টি কালো কিশমিশ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি। পুষ্টিবিদদের মতে, কালো কিশমিশের মধ্যে গ্লুকোজ় এবং ফ্রুক্টোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে। যা ক্ষয়ে যাওয়া শক্তির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। দ্রুত এনার্জি স্টোর করতে সাহায্য করে। কিশমিশের মধ্যে রয়েছে আয়রন, যা রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিশমিশের মধ্যে রয়েছে ‘পলিফেনল’, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কিংবা প্রদাহ নিরাময়েও সাহায্য করে।
২. কলা : কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬-এর উৎস হল কলা। শরীরচর্চা কিংবা গরমে সারা দিন কাজকর্ম করে যদি খুব ক্লান্ত লাগে তা হলে কয়েকটা কলা খেয়ে নিন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন খনিজে ভরপুর কলা পেট তো ভরাবেই, তরতাজা ভাবও ফিরিয়ে আনবে।
৩. অঙ্কুরিত ছোলা, বাদাম, বীজ : শরীরে চনমনে ভাব ফিরে পেতে ভিটামিন বি, সি, এবং ই-যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এই সব ক’টি ভিটামিন রয়েছে অঙ্কুরিত ছোলা, বাদাম, বীজ বা দানাশস্যে। স্প্রাউটের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন এবং প্রোটিন রয়েছে। যা পেশির ক্ষয় রোধ করতেও সাহায্য করে।
৪. চিয়া সিডস : শুধু ওজন কমাতে নয়, গরমের সময়ে ভরপুর এনার্জির জোগান দেয় চিয়া সিডস। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেলসে ভরপুর চিয়া সিডস পেট ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ। যার ফলে কাজের শক্তি পাওয়ার পাশাপাশি চাঙ্গা থাকা যায় অনেক সময়। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হতে দেয় না এই সুপার ফুডটি।
৫. ওটস : ওটস একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং ওজন কমে। সেই সঙ্গে প্রচুর এনার্জিও পাওয়া যায় এই খাবার থেকে। ওটসের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটস। এই তিন ধরনের নিউট্রিয়েন্টের সাহায্যে আপনার শরীরের এনার্জির মাত্রা বাড়বে।
এমটিআই