ঢাকা : গরমে এসির হাওয়া সবসময় স্বস্তি দেয়, তা কিন্তু নয়। নানা রোগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এসি চালানোর সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
ক্লান্তি : এনার্জি কমে যেতে পারে। পাশাপাশি ক্লান্তিভাব বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জেরে আমাদের মেটাবলিক হার কমে যায়।
ডিহাইড্রেশন: রোদের জন্য যেমন ডিহাইড্রেশন হয়, তেমনই ডিহাইড্রেশন হতে পারে এসির জন্য। এসির হাওয়ায় থাকলে শরীরে অনেকটাই আরাম মেলে। সেক্ষেত্রে পানি খাওয়ার কথা অনেকেই ভুলে যান। এছাড়াও, শ্বাসের মধ্য দিয়ে বেশ কিছুটা পানি বেরিয়ে যায়। যে কারণে এসিতে থাকলে গলা শুকিয়ে গিয়েছে, এমনটাও অনেকের মনে হয়।
অ্যাজমার সমস্যা: শীতের সময় অ্যাজমার সমস্যা বাড়ে। এসির হাওয়াতে থাকলেও একই ঘটনা ঘটে। তাই এই সমস্যার থেকে রেহাই পেতে এসির সঙ্গ এড়াতে হবে।
ত্বকের সমস্যা : এসিতে ত্বক ভীষণ শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়াও, ত্বকের নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অ্যালার্জি : এসি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করলে বাতাসে ধুলোবালি থাকে। যা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
ড্রাই আইজ : এসি ঘরের আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই ঘরের মধ্যে যে জলীয় ভাব থাকে, তা উবে যায়। এর পাশাপাশি শরীর থেকেও আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে এসি। যেমন চোখের পানি শুকিয়ে যায়। ড্রাই আইজের সমস্যা হয়।
এসি কীভাবে চালাবেন : রোগ হবে বলে এসি চালানো যাবে না। এমনটা অনেকেই মানতে চাইবেন না। তাই এসি চালানোর উপায় জেনে নিন। এসি চালানোর সময় তাপমাত্রা খুব বেশি কমানো যাবে না। যতটা কম সম্ভব এসি চালানো ভালো। অল্প সময় এসি চালালে তা শরীরের জন্য ভালো। ঘর ঠা-া করতে এসির সঙ্গে ফ্যান চালাতে পারেন। এতে বেশিক্ষণ এসি চালাতে লাগে না।
এমটিআই