ঢাকা: বাঙালির চা খাওয়ার অভ্যাস বেশ পুরনো। সকালে চা, বিকেলে চা, আড্ডায় চা, অতিথি আপ্যায়নে চা। চা ছাড়া অনেকেরই দিনটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বর্তমানে চা পান করা অনেকটা অ্যাডিকশনের মতো। চা পানীয় হিসেবে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী। তবে যখন এতে চিনি, দুধ, কনডেন্স মিল্ক মেশানো হয় তখন চায়ে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুধে থাকা কেজিন প্রোটিনের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। এতে চা তার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাগুন হারায়, অন্যদিকে দুধ হারায় তার প্রোটিন গুণাগুন। এতে করে চা অ্যাসিডিক হয়। ফলে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন হয়।
দুধে থাকা প্রোটিনের সঙ্গে চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো মিশে প্রতিক্রিয়া করে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। অনেক বেশি দুধ চা উদ্বেগের সমস্যা বাড়ায়। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সক্রিয় করে এবং মস্তিষ্কে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। দুধ চায়ে চা পাতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।এই ধরনের চা টানা বহু বছর খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
দুধ চা নিয়মিত পান করলে তা পেট ফাঁপা বা ব্লোটিংয়ের সমস্যা সৃষ্টি করে। দুধ চা খাওয়ার অ্যনতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ফুসকুড়ি। নিয়মিত দুধ চা খেতে থাকলে মুখে ফুসকুড়ির মতো সমস্যা বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়তে পারে মলত্যাগের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও। শরীরে রক্তচাপের দ্রুত পরিবর্তন, নিয়মিত সঠিক রক্তচাপ না থাকা ইত্যাদিও দেখা দিতে পারে দুধ চা খাওয়ার ফলে। যাদের রক্তচাপ উঠা-নামা করে, তাদের এই চা পান করা উচিত নয়। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
এছাড়া দুধ চায়ে কোনো পুষ্টি গুণাগুনও থাকে না। তাই দুধ চা না খাওয়াই ভালো। দুধ চা এর বদলে গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, রং চা, আদা চা বা হারবাল চা পান করতে পারেন।
ইউআর/আইএ