ঢাকা: সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত এই পাঁচদিন যেন আনন্দের শেষ থাকে না। এই দিনগুলো নিজেকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেখতে চায় সবাই। আর তাই পূজার এই সময়টাতে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই পোশাক নির্বাচন করতে হবে। তবে প্রথমেই স্থির করে নিতে হবে আপনি কিভাবে সাজবেন।
ষষ্ঠী ও সপ্তমী: ষষ্ঠীর দিন থেকেই মূলত পূজার সাজ শুরু হয়। নতুন জামা যেমন হবে ট্রেন্ডী ফ্যাশনেবল সেই সাথে হতে হবে আরামদায়ক। ষষ্ঠী ও সপ্তমীর স্নিগ্ধ সকাল শুরু করতে পারেন হালকা সাজের মধ্যদিয়ে। পূজোর সময় দিনের বেলার সাজ বেশ উজ্জ্বল তবে হালকা বেজ মেকাপে রাখা ভালো হবে। কারণ দিনের বেলা মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার সময় যেন চেহারায় স্নিগ্ধভাব বজায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে দেশীয় বুটিক হাউজের কটন সালোয়ার কামিজ বা শাড়ি পড়তে পারেন।
অষ্টমী ও নবমী: পোশাকে প্রাধান্য দিতে পারেন গাঢ় রঙের পোশাক। লাল, মেরুন, মেজেন্টা অথবা সিগ্রীন কালার। দিনের শুরুতে হালকা সাজই ভালো। হালকা রঙের আইশ্যাডো দিয়ে চোখ সাজাতে পারেন। সাথে আইলাইনার ও মাশকারা লাগাতে পারেন। ঠোঁটে থাকতে পারে ন্যুড কালার লিপষ্টিক। চুল খোপা করে, ফুল লাগাতে পারেন। কানে পড়তে পারেন ঝুমকো, সাথে হাত ভরে চুড়ি।
দশমী: শারদীয় পূজার প্রধান আকর্ষণ হলো দশমী। এ দিনের সাজ মানেই সাদা শাড়ি লাল পাড়। অথবা একদম লাল রঙের শাড়ি বা সাদা জামদানি। ব্লাউজে আনতে পারেন বৈচিত্র। অনেকে আবার নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন প্রতিমার মতো করে। গাঢ় কাজল, টানা আইলাইনার দিয়ে চোখ সাজাতে পারেন। লাল লিপষ্টিক হালকা সাজ। এদিন ঠাকুরকে সিঁদুর পড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেরাও মেতে উঠেন সিঁদুর খেলায়।
পূজায় রাতের সাজ: সন্ধ্যার পর প্যান্ডেলে ঘুরতে যান অনেকে। তখন একটু গাঢ় করে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। তাই মেকাপে একটু ভারি সাজই ভালো। মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজ লাগিয়ে নিন। এরপর স্কিন শেড মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। আইব্রো আকিয়ে গাঢ় আইশ্যাডো দিতে পারেন। চোখে লাগাতে পারেন ফলস আইল্যাশ। সাথে দিয়ে নিবেন আইলাইনার ও মাশকারা। ব্লাশ, কন্টরিং এরপর হাইলাইট করতে পারেন। ঠোঁট একে নিতে পারেন গাঢ় রঙের লিপষ্টিকে।
ইউআর