Menu
ঢাকা : বিয়ের পর নবদম্পতির মাথায় সবচেয়ে যে বিষয়টি বেশি ভর করে তা হলো নতুন সংসার গড়ে তোলা। এর মধ্যে বেশি গুরুত্ব পায় ঘর সাজানো পর্ব। কেমন হবে নবদম্পতির আবাস- বিয়ের পর অনেকেই এ নিয়ে ভোগেন দ্বিধায়। বুঝতে পারেন না ঠিক কীভাবে সাজাতে হবে টোনাটুনির ঘর।
নবদম্পতিদের কেউ শ্বশুরবাড়িতে কিংবা নতুন ফ্ল্যাটে সাজান সংসার। আবাস সাজানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত শোবার ঘরকে। কেননা সারা দিনের ক্লান্তি শেষে কাঙ্ক্ষিত প্রশান্তি সেখানেই মেলে। তবে বেডরুম সাজাতে খুব বেশি আসবাবের প্রয়োজন নেই। একটি খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল হলেই যথেষ্ট। তবে এসব আসবাব নিতে হবে শোবার ঘরের আয়তনের ওপর নির্ভর করে।
দরজা খুললেই দেখা যায় এমন জায়গায় বিছানা পাতা যাবে না। বিছানা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলেই নজর দিতে হবে পর্দায়। নবদম্পতির ঘরে গোপনীয়তা একান্ত প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রয়োজন পর্যাপ্ত আলো। আলো ও গোপনীয়তা দুটি পর্যাপ্ত দিতে পারে দুই স্তরের পর্দা। এ পর্দার রং নির্ভর করে ঘরের দেওয়ালের রঙের ওপর। তবে হালকা রঙের পর্দা হলে ভালো হয়, এতে ঘর বড় দেখায়।
খাট, ড্রেসিং টেবিল, আলমারির পাশাপাশি আরো একটি আসবাব জায়গা পেতে পারে নবদম্পতির ঘরে। সেটি হচ্ছে ছোট দুটি চেয়ার ও টেবিল। যেখানে চাইলেই অবসরটা কফির ধোঁয়ায় ভালোবাসা উপভোগ করতে পারে কপোত-কপোতি। চাইলে চেয়ার-টেবিলের পরিবর্তে ছোট সোফাও রাখা যেতে পারে।
মেঝের খালি জায়গা কার্পেট দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন কিংবা শতরঞ্জি বিছাতে পারেন। অবসর সময় সেখানে গা এলিয়েও দিতে পারেন। পর্দায় হালকা রং ব্যবহার করলেও ছোট ছোট জিনিসপত্র- কুশন কাভার, বেড রানারের রং উজ্জ্বল হলে ভালো। ঘর সাজাতে ব্যবহার করা যেতে পারে ফটোফ্রেমও। এখানে নবদম্পতির বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি সাজিয়ে রাখা যেতে পারে।
শোবার ঘরের পাশাপাশি ডাইনিং স্পেস অল্প কিছু আসবাবে সাজানো যেতে পারে। এর মধ্যে ডাইনিং টেবিল, ফ্রিজ, ডাইনিং ওয়াগন এবং ড্রয়িংরুমে এক সেট সোফা হলেই নবদম্পতির হয়ে যায়। ঘরের ভেতর গাছগাছালি রাখলে সবুজের ছোঁয়াতেও থাকা যায়।
রান্নাঘরের কাজে বেশি কিছু না কিনে এমন কিছু কিনতে হবে, যেগুলোর ব্যবহারে সহজ হয়ে উঠবে কাজ। ভাতের হাঁড়ি, তরকারির পাতিল, ফ্রাইপ্যান বা কড়াই আর থালা-বাটি-চামচ, ব্লেন্ডার, প্রেশার কুকারের মতো কিছু অনুষঙ্গ কেনা হলেও কাজের সুবিধা হয়।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT