Menu
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: কেনাকাটার ক্ষেত্রে দর-কষাকষির কৌশল ঠিকমতো শিখে ফেলতে পারলে অনেক অর্থ বাঁচানো যায়। ভালোভাবে দরদাম করতে পারলে ক্রেতার দাম হাঁকানো শুনে যেমন ভয় পাবেন না, তেমনি পছন্দের জিনিসটিও উপযুক্ত মূল্যে কিনতে পারবেন। তাই কোনো কিছু কেনার সময় কিভাবে দর-কষাকষি করবেন, চলুন জেনে নেই।
সস্তায় ভালো পণ্য কিনতে হলে দর-কষাকষির গুণটি ভালোভাবে আয়ত্ত করা বাঞ্ছনীয়।
যখন আপনি কম ও নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে সব প্রয়োজন মেটাতে চান, তখন দর-কষাকষি করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে। দর-কষাকষি একটা শৈল্পিক ব্যাপার এবং চাইলেই এই শিল্প আয়ত্ত করা সম্ভব। শুধু কয়েকটা পয়েন্ট মাথায় রাখলেই যথেষ্ট—
কেনার আগে বিভিন্ন দোকান ঘুরে পণ্যের গড় মূল্য সম্পর্কে ধারণা নিন। অনলাইনে বা অন্যান্য বাজারে দাম তুলনা করুন, যাতে বিক্রেতা বেশি দাম চাইলে বুঝতে পারেন।
দোকানদার যদি কোনো পণ্যের দাম ৫ হাজার চায়, আপনি তার হাঁকা দামের সাথে রেশ রেখে দাম বলতে যাবেন না। যদি মনে করেন, পাঁচ হাজার টাকার জিনিস আড়াই হাজারও তো বলতে হয়, তাহলে আপনি ঠকে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পণ্যের দাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলে, দোকানির কাছে একদাম জেনে বেরিয়ে পড়ুন। এরপর অন্য দোকানে দর যাচাই করুন।
কোনো পণ্য আপনার পছন্দ হলে দোকানিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। স্বাভাবিক আচরণ করুন যেন পণ্যটি না পেলেও আপনার কিছু আসে-যায় না। দোকানি যদি বুঝে ফেলে পণ্যটি আপনার খুব বেশি পছন্দ হয়েছে, এটি আপনার চাই-ই চাই; তাহলে দোকানি পণ্যটি আপনার কাছে অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করবে, নাহয় আপনার কাছে বিক্রি করবে না।
দোকানে গিয়ে বলুন, ‘অন্য দোকানে কমে পাচ্ছি’ বা ‘আমি আরও কয়েক জায়গায় দেখছি’—এতে বিক্রেতা সরাসরি প্রকৃত মূল্যের কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
কঠোর থাকুন, কিন্তু ভদ্রতা বজায় রাখুন। দর-কষাকষিতে জেদ ধরুন, তবে অসভ্য হবেন না। ভালো ব্যবহার করলে বিক্রেতা আপনাকে গুরুত্ব দেবে।
দর-কষাকষির পরও যদি দাম না কমায়, তাহলে ‘থাক, লাগবে না’ বলে চলে যাওয়ার ভান করুন। অনেক সময় বিক্রেতা আপনাকে ধরে রাখবে ও কম দামে রাজি হবে।
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT