Menu
ঢাকা: গরমে আরামের পাশাপাশি তরমুজ শরীরের বেশ কিছু চাহিদা পূরণ করবে। স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এই ফলটি পানির চাহিদা তো পূরণ করবেই, সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে।
সব বয়সের মানুষের জন্য তরমুজ খুবই উপকারী। পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় শরীরের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে। তরমুজে থাকা খনিজ লবণ ত্বক, চুল, দাঁত, হাড় ও নখের পুষ্টির জন্য খনিজ লবণও ভীষণ উপকারী।
*প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে তরমুজ। প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে আপনাকে সতেজ রাখবে গ্রীষ্মের উপকারী এই ফল।
*হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
তরমুজে রয়েছে সিট্রুলাইন নামের একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা শরীরে আর্জিনাইনে রূপান্তরিত হয়। আর্জিনাইন হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কারণ এটি রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে, রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ফলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
*ত্বক ভালো রাখে
তরমুজে পাওয়া ভিটামিন এ এবং সি ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সতেজ রাখে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষের পুনর্জন্ম এবং মেরামতকে সহায়তা করে, অন্যদিকে ভিটামিন সি ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে। বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখার উপস্থিতিও হ্রাস করে তরমুজে থাকা উপকারী উপাদান। এই গরমে ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে তাই তরমুজ খান নিয়মিত।
*রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তরমুজে থাকা ভিটামিন সি সংক্রমণ এবং অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে তরমুজের মতো ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। এগুলো প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং সাধারণ অসুস্থতা থেকে আমাদের দূরে রাখে।
তরমুজ টাটকা অবস্থায় খাওয়াই উত্তম। ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা একেবারেই উচিত নয়। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে চিনির যৌগ হিসেবে পরিচিত সরবিটল থাকে, যাতে গ্যাসের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা তৈরি করে। তাই এ ধরনের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যালান্স রক্ষা করা জরুরি।
ইউআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT