ঢাকা : প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় হবে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ‘বসন্ত উৎসব’।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে যন্ত্রসঙ্গীতে সূচনা হবে উৎসবের। অনুষ্ঠানে সেতার পরিবেশন করবেন জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। সেতারে রাগ বসন্ত মুখারী বাদনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এছাড়া নৃত্য ও সঙ্গীতের দল, বরেণ্য শিল্পী, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির পরিবেশনা ছাড়াও বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময় থাকবে আয়োজনে।
বসন্ত কথন পর্বে সভাপতিত্ব করবেন স্থপতি সফিউদ্দিন আহমদ। বক্তব্য রাখবেন কাজল দেবনাথ ও মানজার চৌধুরী সুইটসহ অনেকে। উপস্থাপনা করবেন ফয়জুল আলম পাপ্পু ও নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পা।
সকালের পালার অনুষ্ঠান শেষ হবে ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার চারুকলায় ফিরে আসবে।
এরপর বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে বেঙ্গল পরম্পরার যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু পরের পালার আয়োজন। এখানেও গান, নাচসহ নানা পরিবেশনায় অংশ নেবেন শিল্পীরা।
আয়োজকরা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে একযোগে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ্ পার্ক ও উত্তরা দিয়াবাড়ীর লেক সংলগ্ন মাঠে ‘বসন্ত উৎসব-১৪৩০’ এর অনুষ্ঠানরাখা হয়েছে।
মঞ্চে ‘লাভ লেটার্স’ : ফাল্গুনের প্রথম দিনে নাট্যদল থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে নাটক ‘লাভ লেটার্স’। সন্ধ্যা ৭টায় মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির দশম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
পরদিন সন্ধ্যায় শুধু আমন্ত্রিতদের জন্য এই নাটকের আরেকটি প্রদর্শনী রয়েছে।
এ আর গার্নির মূল ইংরেজি নাটকের বাংলা রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম। ত্রপা মজুমদারের নির্দেশনায় এতে পাঠ-অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের দুই জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার ও রামেন্দু মজুমদার। শিল্পীদ্বয়ের সহকারী হিসেবে মঞ্চে থাকবেন রবিন বসাক ও নাজমুন নাহার নাজু। নাটকটির মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন পলাশ হেন্ড্রি সেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে রূপান্তরিত এ নাট্য নির্মাণে দুই চরিত্রের একে অন্যকে লেখা চিঠি পড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে মাইশা ও অনন্তের জীবনের কাহিনী। দর্শক পরিভ্রমণ করে তাদের জীবনের পথে পথে; যার প্রধান ৫টি পর্যায়- এই দুই চরিত্রের কলেজ জীবন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, কর্মজীবন, ভালো-মন্দের মিশেলে জীবনের এক অন্যরকম অধ্যায় আর সবশেষে আত্ম-অনুধাবন স্তরে উপনীত হওয়া।
সৌরেন্দ্র ও সৌম্যজিতের সৃষ্টি থেকে সংগৃহীত সংগীত নাটকটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
অন্যান্য আয়োজন : সমগীতের বসন্ত উৎসব শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের বটতলায় এই আয়োজনে গান গাইবেন কফিল আহমেদ, সায়ান। এছাড়াও গানের দল লীলার পরিবেশনা থাকবে।
শিল্পকলা একাডেমির বসন্ত উৎসবের আয়োজনটি শুরু হবে বিকাল ৩টায়। রমনা পার্কের শতায়ু অঙ্গণে এই আয়োজনে থাকবে আলোচনা সভা ও বসন্ত নৃত্য।
পরে একটি শোভাযাত্রা নিয়ে শিল্পীরা যাবেন শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। একাডেমির নন্দন মঞ্চে পরে সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বসন্ত বরণের আয়োজনটি শুরু হবে বেলা ১২টায়। শিল্পকলা একাডেমির বাউল শিল্পীরা বাংলার লোককবিদের গান পরিবেশন করবেন।
পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশকেন্দ্রেও রয়েছে বসন্তবরণের আয়োজন, যা শুরু হবে বিকাল ৩টায়।
ছায়ানটের বসন্তের অনুষ্ঠান হবে আগামী শুক্রবার। ওইদিন ছায়ানট মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হবে। অনুষ্ঠানে একক ও সম্মেলক গান, পাঠ-আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশিত হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা।
এমটিআই