কুষ্টিয়ায় ৩ কাউন্সিলরসহ ছয়জনের জামিন, আদালত প্রাঙ্গনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
কুষ্টিয়ায় ৩ কাউন্সিলরসহ ছয়জনের জামিন, আদালত প্রাঙ্গনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় আন্দোলনকারী তামজিদ হোসেন জনিকে (২৬) হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ কাউন্সিলরসহ মোট ছয় আসামিকে জামিনের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ছাত্র জনতা। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভে ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালত মামলার ছয় আসামিকে জামিন দেন। জামিন পাওয়া তিন কাউন্সিলর হলেন- কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল হক মুরাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম নজু ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছ কোরাইশী। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামিকে জামিন দিয়েছে আওয়ামী লীগের পরিবারের বিচারক মাহমুদা সুলতানা। আওয়ামী লীগের খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তিনি। আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের দুই দিন পরে তিন কাউন্সিলরসহ ছয় আসামিকে জামিন দিয়েছে তিনি। তাকে দ্রুত প্রত্যাহার করা হোক। জামিনের ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে কুষ্টিয়ায় আন্দোলনকারীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার সকল আসামিদের জামিন বাতিল করতে হবে৷ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামীতে আমরা কঠোর কর্মসূচি পালন করব।

এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত সূত্র জানিয়েছে, তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়াই মানববন্ধন সমাপ্ত করে আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে গেছে ছাত্র-জনতা।

প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এলোপাতাড়ি মারপিট ও গুলি করে তামজিদ হোসেন জনি (২৬) নামে এক আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা করা হয়। এই মামলায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফকে নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০/৪৫ জনকে। গ্রেপ্তার কাউন্সিলররা এই মামলার আসামি ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুমারখালী উপজেলার ঘোরাই গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে জিলহজ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন।

এসএস

Link copied!