বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, লোকসান নিয়ে আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা

  • জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কলাপাড়া | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, লোকসান নিয়ে আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা

পটুয়াখালী: সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তল হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকত। এতে পটুয়াখালীর মহিপুর আলিপুর মৎস্য বন্দর শিব বাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে শত শত ট্রলার।এবছর মৌসুমী বায়ুর প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মধ্যে রয়েছে জেলেরা। বুধবার থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আকাশ এখনো ঘণ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছেন, উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পটুয়াখালীর বড় দুটি মৎস্য আড়ৎ কেন্দ্র আলীপুর-মহিপুরের ঘাট ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় ট্রলার ছাড়াও চট্রগ্রাম, বাশখালী, ভোলা থেকেও শত-শত জেলেরা এই বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে কুয়াকাটার ক্ষুদ্র জেলেরা আজ দু’দিন যাব মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছে। তবে বৈরি আবহাওয়ার প্রভাবে ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে দেখা গিয়েছে বেশীরভাগ জেলেদের।  এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির করনে, লাভের কথা ভুলে গিয়ে লোকশান গুনতে হবে এই চিন্তায় দিন পার করছে তারা।

বাশখালী থেকে আসা এফবি বাদশা ট্রলারের মাঝি জুবায়ের জানান, আমরা গত ৫দিন আগে মাছ ধরতে সমুদ্রে যাই, কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় আলীপুর বন্দর কাছাকাছি থাকায় এখানে চলে আসি।

চট্রগ্রাম থেকে আসা মিজানুর রহমান নামের এক জেলে জানান, গভীর সমুদ্রে আবহাওয়া অনেক খারাপ, তাই আমরা নিরাপদে চলে আসছি। এখানে থাকবো আবহাওয়া ভালো হলে এখান থেকেই সাগরে যাবো।

মহিপুর বন্দরের জেলে নুর মাহমুদ বলেন, আমরা সমুদ্রে যাওয়ার জন্য তিনদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছি কিন্তু আবহাওয়া দিন দিন খারাপ হচ্ছে তাই যাচ্ছি না। বাজার, জাল সহ সার্বিক সরঞ্জামাদি নিয়ে ট্রলার পুরোপুরি প্রস্তুত।

আলীপুর বন্দরের ভাই-ভাই ফিসের আড়ৎদার রাসেল মোল্লা জানান, সমুদ্রে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে তাই অনেক ট্রলার ইতোমধ্যে নিরাপদে চলে আসছে। তিনি আরও জানান, একহাজারের অধিক ট্রলার ঘাটে এসেছে এরা অনেকেই আশানুরূপ মাছ পায়নি, যা পেয়েছে তা দিয়ে খরচটা কোনোমতে টেনেটুনে উঠতে পারে।  এখন আবার আবহাওয়া খারাপ। এমন হতে থাকলে জেলে পেশা হুমকির মুখে পরবে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানালেন, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থার প্রভাবে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা কিছুটা বেড়ে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। একইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। কোনো কোনো জায়গা থেকে দূর হতে পারে তাপপ্রবাহ। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এলাকায় অবস্থানরত সকল মাছধরার ট্রলার ও নৌ-যানকে সাবধানে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এসএস

Link copied!