পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলীর ছেলে ইমাম হোসেন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক নারীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে ইমাম হোসেনকে আটক করা হয়। ইমাম পাড়েরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পাড়েরহাটের বাটাজোড় এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বাদি বাটাজোড় গ্রামের মোকাম্মেল আলী হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেয়ায় রোববার দুপুরে বাটাজোর হাওলাদার বাড়িতে আমার মা আনোয়ারা বেগম (৭৫) ও আমার ভাই আসলাম হাওলাদার (৪৫) এর ওপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে ইমাম ও তার সহযোগীরা। হামলায় আমার ভাই আসলামের ডান পা ভেঙে যায়। আর মাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রেপ্তারকৃত ইমাম মাদক কারবারি ও মাদকাসক্ত। ২০১৪ সালে বাটাজোড় আলিম মাদ্রাসার সামনে থাকা মসজিদের ইমাম খায়রুল ইসলামের দোকান ঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেয় ইমাম হোসেন। একই সময় খায়রুল এর ভাই ছাইফুলকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। বাটাজোড় গ্রামের মালেক সরদার এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভেঙে লুট করে ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে যায় এই ইমাম হোসেন। প্রকাশ্যে রুস্তুম হাওলাদারের গরু জবাই করে খেয়েছে ইমাম ও তার দলীয়রা। বাটাজোড়ের আউয়াল শেখ চাঁদা না দেয়ায় তার দোকানের ফ্রিজসহ মালামাল নিয়ে যায় ইমাম।
আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থাকায় ইমাম দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজীসহ নানা ধরনের তান্ডব চালালেও কেউ কখনো মুখ খুলতে সাহস করে নাই বলে অভিযোগ করেন কালিবাড়ির পোস্ট মাস্টার আব্দুল আলিম।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মারুফ হোসেন জানান, ইমাম হোসেন এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :