পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্রথম দিন কুয়াকাটার মূল সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেও, দ্বিতীয় দিন শত শত স্থানীয় নারী -পুরুষ একত্রিত হয়ে লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে থাকা উপজেলা প্রশাসনকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে। এসময় উচ্ছেদ অভিযানে থাকা ভেকু মেশিন ভেঙে ফেলে এর চালককে মারধর করে স্থানীয়রা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সংলগ্ন বেরিবাদের বাহিরে থাকা অবৈধ স্থাপনা ভাঙতে যাবার সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছিলো টানা দুইদিন চলবে এই অভিযান। তবে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেই ঘটেছে এমন ঘটনা। এ সময় পুলিশ ও সাধারণ জনগণের চেষ্টায় বিক্ষুব্দ নারী পুরুষদের শান্ত করা হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ একাধিক জনগণ বলেন, আমাদের পূর্ণবাসন না করার আগে আমাদের বাসা বাড়ি ভাঙতে দিব না। অনেক বছর যাবত এই বাড়িতে রয়েছি, কখনো অবৈধ থাকার কথা শুনেনি। তারপরও যদি অবৈধ হয় আমরা ছেড়ে দিব, আমাদের পূর্ণবাসন করতে হবে আগে। এদিকে ক্ষিপ্ত জনগণ আর বলেন, বেরিবাদের বাহিরে যদি আবাসিক হোটেল থাকতে পারে, তাহলে আমরা গরিব অসহায় মানুষ থাকতে পারবো না কেন? তবে কি এখানেও বৈষম্য রয়েছে, না টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন, এমন প্রশ্ন ছোড়ে ক্ষিপ্ত জনগণ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম। এসময় তার সাথে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক মো. কৌশিক আহমেদ, মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে সাজিয়ে তোলার জন্য আমার এই উদ্যোগ৷ তারা দীর্ঘদিন যাবত বেড়িবাদের বাহিরে অবৈধ জায়গায় বসত বাড়ি করে রেখেছে, এতদিন সেই জায়গা প্রয়োজন হয়নি এখন কুয়াকাটাকে সাজানোর জন্য সেই জমি সরকারের প্রয়োজন। তিন দিন যাবত তাদেরকে মাইকিং করে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে সেই নির্দেশ অমান্য করে আমাদের দিকে তেড়ে এসেছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :