বরগুনা: আজ (৩ ডিসেম্বর) বরগুনা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের (২ ডিসেম্বর) রাতে বেতাগীর কালিকাবাড়ি থেকে বরগুনাকে শত্রু মুক্ত করতে প্রথম লড়াই শুরু করে। আঃ ছাত্তার খানের নেতৃত্বে ২১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এই অপারেশন শুরু করে। সেদিন তারা নৌকাযোগে বিষখালী নদী দিয়ে অগ্রসর হয়ে বরগুনায় ঢুকে কারাগার, ওয়াবদা কলোনি, জেলা স্কুল, সদর থানা, ওয়ারেলস সেন্টার এবং ও এসডিওর বাসায় অবস্থান শুরু করে।
মুক্তিযোদ্ধারা যে যার অবস্থান নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা পাক হানাদার বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা করার জন্য সংকেত হিসাবে ব্যবহার করেন ফজরের আজান। আজান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৬ টি স্থান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীর উপর হামলা শুরু করে। এক যোগে ব্রাশ ফায়ার করে আতঙ্কিত করে তোলে হানাদারদের।
এরপর দ্বিতীয় দফায় গোলা বর্ষণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাত্তার খানের নেতৃত্বে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার দল জেলাখানার দিকে এগুতে থাকেন। এসময় তারা পুলিশ ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণ করিয়ে এসডিও অফিসের সামনে নিয়ে আসে। তখন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এসে স্বাধীনতাকামী চেতনায় বিশ্বাসী এসডিও আনোয়ার হোসেনকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। দুপুর বারোটার সময় হানাদার বাহিনীর রেখে যাওয়া অস্ত্রগুলো প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে মুক্তি বাহিনীর দলটি বুকাবুনিয়া সাব সেক্টরে চলে যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় এই দিনটি স্মরণ রাখতে বরগুনার বিভিন্ন সংগঠন আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলনের আয়োজন করেছে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :