চুয়াডাঙ্গা: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, আগামী শনিবার থেকে জেলার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। ধারণা করা হচ্ছে আগামী শনিবার থেকে গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত তিনদিন মধ্যরাত থেকে দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জেলা। ভোর থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলেছে কুয়াশার ঘনত্ব। সেই সঙ্গে আছে হিম শীতল ঠাণ্ডা বাতাস। শিগগিরই এ জেলায় নামবে শৈত্যপ্রবাহ।
শীতের কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলচল তুলনামূলক কম। ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সকাল ৯টায় তাপমাত্রার পারদ নেমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, চলতি বছর একটু আগেই শীত পড়া শুরু করে এ জেলায়। আরও দু’একদিন এ রকম থাকতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তখন তাপমাত্রা আরও কমবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, যা ছিল গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এম
আপনার মতামত লিখুন :