হিলি: ভারতসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে দ্য হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) ছড়িয়ে পড়লেও তা প্রতিরোধে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরে ভাইরাসটি প্রতিরোধে এখনো কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ফলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে পাসপোর্টযাত্রীরা যাতায়াত করছেন।
এছাড়া আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপাররা দুই দেশে আসা-যাওয়া করছেন। এদিকে কতৃপক্ষ বলছেন, উপর মহল থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি,আসলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে এলাকাবাসীদের দাবি এখানে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকা হওয়ায় শত শত পাসপোর্ট যাত্রী এবং চালক ও সহকারী বাংলাদেশে আসেন যার কারণে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা থাকায় মেডিক্যাল টিম ও সর্তকর্তা অবলম্বন করা দরকার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি ভাইরাস করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এই ভাইরাসের উপসর্গগুলো হলো- জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ থাকা, গলা ব্যথা এবং হাঁচি। এটি সাধারণ ফ্লুর মতো। শিশু ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন বয়স্ক মানুষ এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, করোনা মহামারিতে বিশ্বে মোট ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ কোটিরও বেশি। এ অবস্থায় জনসাধারণের মনে নতুন এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এদিকে কয়েকজন পাসপোর্ট ধারী যাত্রী বলছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি করোনার মতোই নতুন একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ভারতে কয়েকদিন আগে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এখানে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকা হওয়ায় শত শত পাসপোর্ট যাত্রী এবং চালক ও সহকারী বাংলাদেশে আসেন যার ফলে আমাদের এখানে এইচএমপিভি ভাইরাস স্ক্যানিং বুথ স্থাপন করা উচিৎ এবং সর্তকর্তা অবলম্বন করা দরকার। এছাড়া আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপাররা দুই দেশে আসা-যাওয়া করছেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি এইচএমপিভি ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
এ জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে হিলি চেকপোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতে চলাচল করা পাসপোর্ট যাত্রীদের মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থ্য সচেতনার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দু-দেশের মাঝে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার করেন ১৮০ থেকে ২০০ জন।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, এদিকে এই ভাইরাসটির জন্য আমাদের কাছে কোনও নির্দেশনা আসেনি, নির্দেশনা আসলে মেডিকেল টিম বসানো হবে। এছাড়া এই রকম রোগির ভাইরাসের উপসর্গগুলো হলো- জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ থাকা, গলা ব্যথা এবং হাঁচি। এটি সাধারণ ফ্লুর মতো।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :