বরিশাল: কীর্তনখোলা নদীর তীরে উদ্ধার হওয়া এক নবজাতকের পরিচয় অবশেষে মিলেছে। জানা গেছে, শিশুটির বাবা-মা হলেন বাগেরহাটের গণেশ শ্যাম ও অন্তরা দাস।
অর্থের অভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে না পেরে তারা সন্তানটিকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কোনো দত্তক গ্রহণকারী সংস্থা বা আত্মীয়ের কাছে নয়, বরং এক অজ্ঞাতপরিচয় রিকশাচালকের হাতে তুলে দেন তারা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদ্যোজাত শিশুটি অসুস্থ ছিল এবং চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দরিদ্র এই দম্পতির পক্ষে সেই ব্যয় বহন করা সম্ভব ছিল না। তাই তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সামনে এক অচেনা রিকশাচালককে সন্তানটিকে দত্তক দেন, এই বিশ্বাসে যে সে শিশুটির দেখভাল করবে। তবে সেই রিকশাচালকের কোনো খোঁজ তারা জানেন না।
শিশুটিকে উদ্ধারের পর সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রাখা হয় এবং বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংবাদ পাওয়ার পর নবজাতকের বাবা গণেশ শ্যাম ও তার শাশুড়ি সুমি দাস বরিশাল যান এবং সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন, সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আশায়।
গণেশ শ্যাম পেশায় একজন চা বিক্রেতা। তার বাড়ি বাগেরহাটে। চার বছর আগে অন্তরা দাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং এই নবজাতক তাদের প্রথম সন্তান। অভাব-অনটনের কারণে তারা সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারেননি বলে জানান। এখন সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য তারা সমাজসেবা অধিদপ্তরের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :