চোর সন্দেহে যুবককে নির্যাতন, চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের নামে মামলা

  • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২০, ০১:৫৬ পিএম
চোর সন্দেহে যুবককে নির্যাতন, চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের নামে মামলা

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় চোর সন্দেহে বাড়ী থেকে উঠিয়ে নিয়ে রুবেল মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে বেধরক পিটিয়ে ও  ইলেকট্রিক শক দিয়ে গুরতর আহত করেছে প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) নির্যাতিত যুবকের বাবা নুর ইসলাম বাদি হয়ে অচিন্তপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, দোকানদার আরসাদুল ইসলাম ও তার ভাই শফিক।

জানা যায় সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত অচিন্তপুর বাজারে এমন পার্শবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের এয়ারপুর গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধি নুর ইসলামের ছেলে জানা গেছে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে এ খবর জানতে পেরে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী ও এলাবাসীর সহায়তায় ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে যুবকের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন। নির্যাতিতের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি এবং স্থানীয়রা বলেন, গত ১ নভেম্বর দুপুরে একই উপজেলার অচিন্তপুর বাজারে আরশাদুলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে চুরি সন্দেহে আরশাদুল আরো কিছু লোক নিয়ে রুবেলকে গত ২ নভেম্বর সকাল ৬ টায় তাকে বাড়ি থেকে তুলে আনেন। পরে আরশাদুলের দোকানে নিয়ে যুবককে বেধে ইলেকট্রিকের শক দেয় এবং অমানবিক নির্যাতন করেন। আরশাদুল ও তার ভাই শফিক এবং সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে মিলে রুবেলকে নির্যাতন করেছে বলে তার অভিযোগ। 

নির্যাতনের পর বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আজমল দরবার শালিশের মধ্যমে দেড় লক্ষ টাকায় রফা করে রুবেলকে উদ্ধার করে বিকালে বাড়ী নিয়ে আসে তার পরিবার। রাতে স্থানীয় ভাবে ওই যুবককে চিকিৎসা করে পরিবার।  

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, নির্যাতিত যুবকের বাবা নুর ইসলাম বাদি হয়ে অচিন্তপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, দোকানদার আরসাদুল ও তার ভাই শফিক। তবে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সোনালীনিউজ/এমআর/এসআই

Link copied!