নিহত এক, আহত ৫০

বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২১, ১০:৫১ এএম
বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি

ফাইল ছবি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়, থেমে থেমে তা রাত ১০টা পর্যন্ত চলে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। শহরে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করছে উপজেলা প্রশাসন।

নিহত ব্যক্তির নাম আলাউদ্দিন (২২)। তিনি কোম্পানীগঞ্জের চারকালী গ্রামের মইনুল হকের ছেলে। ওই ওয়ার্ড শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং বাদল গ্রুপ অনুসারি।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহীউদ্দিন আবদুল আজিম একজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ বসুরহাটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াতকে আহত করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে বাদল গ্রুপ। এসময় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা ওই মানবন্ধনের দিকে এগিয়ে যাবার সংবাদ পৌছালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। 

এসময় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে বাদল সমর্থকরা পৌর কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করা মির্জাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় বেশ কয়েকজন। এসময় অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। সব মিলিয়ে আহত হন প্রায় ৫০ জন। আহতরা হচ্ছে, মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৫), পিতা- ইউসুফ, গ্রাম সিরাজপুর। উদ্দিন(৩০), পিতা- মোস্তফা, সাং- চরহাজারী, আলা উদ্দিন  (২৮), পিতা- মমিনুল হক, সাং- চরকাকড়া, মাইন উদ্দিন বাবু (৪০), পিতা- আব্দুর রব, সাং- চরহাজারী,সোহেল(২২), পিতা- নুরুল আমিন, সাং- হাবিবপুর, জাকির হোসেন রিদয়( ২৬), পিতা- ফারুক, সাং- বসুরহাট, রাফাত (২২), পিতা- ইলিয়াস, সাং- মুছাপুর,শাহাদাত হোসেন হৃদয়(২৪), পিতা- শাহাআলম,  সাং-করালিয়া,সবুজ(২১), পিতা- জাকির, সাং- করালিয়া, রিপন(২৮), পিতা-মৃত আব্দুল হাই, সাং- উপদিলামছি, কবিরহাট,নরুল ইসলাম মানিক (৩৭), পিতা- আব্দুল মালেক, সাং- চরকালী, 

সোনালীনিউজ প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এর আগে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সন্ধ্যায় দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো বসুরহাট বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি, চার পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। এ সময় পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

সোনালীনিউজ/জেএ/এসআই

Link copied!