ঢাকা : সাত দিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় যে যেভাবে পারছেন রাজধানী ছাড়ছেন। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর সকল বাস টার্মিনাল ও ফেরিঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। অনেকটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক থাকলেও তাদের কেউই মানেননি করোনার স্বাস্থ্যবিধি। ৭ দিনের বিধিনিষেধে অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষিত হওয়ায় মানুষের বাড়ি ফেরায় উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পার হয়েছে ৩০ হাজার পরিবহন। এতে টোল আদায় হয়েছে সোয়া কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু সূত্র জানায়, রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩০ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় সোয়া কোটি টাকা। যা স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলের আধিক্য থাকলেও বিপুল সংখ্যক যাত্রাবাহী বাস পারাপার হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেও ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে মহাসড়কে।
মালবাহী ট্রাকসহ খোলা ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন তারা। অন্যদিকে, দূরপাল্লার গণপরিবহণ চলাচল বন্ধের ঘোষণা থাকলেও মানছেন না অনেক পরিবহন চালকরা।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াসির আরাফাত বলেন, যেসব বাস মহাসড়কে আটকা পড়েছিল তারা নিজ নিজ ডিপো বা টার্মিনালে পার্কিং করার জন্য যাচ্ছে। এসব বাসে কোনো যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। মহাসড়ক থেকে তারা যেন কোনো যাত্রী পরিবহন করতে না পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এরপরও কিছু বাস গভীর রাতে চুরি করে চলাচল করার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :