কাদের মির্জাকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা আ.লীগের আল্টিমেটাম

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২১, ০৪:৩৮ পিএম
কাদের মির্জাকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা আ.লীগের আল্টিমেটাম

ফাইল ছবি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কাদের মির্জাকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা আওয়ালীগের দেওয়া ৬০ ঘন্টার হরতাল শেষে ফের আল্টিমেটাম দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ।
 
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ালীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বুধবার (১৬ জুন) মধ্যে সংঘঠিত ঘটনায় মামলা গ্রহণ করে আবদুল কাদের মির্জাসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ওই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিব আহসান আলালের ওপর কোম্পানীগঞ্জের অপরাজনীতির হোতা আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে ও নির্দেশে তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকা ৬০ ঘণ্টা অবরোধ সফল করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমকারী দলীয় সকল নেতাকর্মীসহ অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

একই সাথে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি যে ১৬ জুনের মধ্যে সংঘঠিত ঘটনায় মামলা গ্রহণ করে আব্দুল কাদের মির্জাসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব। আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ, উপজেলার সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিটন,সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিব আহসান আলাল, যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী আরমান, যুব নেতা কামরান পাশা চৌধুরী মঞ্জিল, যুব নেতা এনামুল হক সবুজ, যুবনেতা যুবনেতা মোজাম্মেল হোসেন জুয়েল ও চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জামাল উদ্দিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নাটের গুরু অপরাজনীতির হোতা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডরের দায়ে এবং দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী,এমপি জেলা নেতা ও স্থানীয় নেতাদের চরিত্র হরণ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপরাধে অনতিবিলম্বে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, বসুরহাট পৌরসভা একটি সায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্তেও আব্দুল কাদের মির্জা আইন অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব সম্পত্তি বানিয়ে পৌর ভবনকে সন্ত্রাসীর আস্তানা ও মিনিক্যান্টমেন্ট হিসেবে গড়ে তোলার অপরাধে তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণ করে তাকেসহ পৌর ভবনে অবস্থানকারী সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হোক।

সোনালীনিউজ/জেএ/এসআই

Link copied!