জামালপুর : জামালপুরের ইসলামপুরে দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদরাসার আবাসিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজের ৫৩ ঘণ্টা পার হলেও তাদের সন্ধান না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদরাসার চার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মাদরাসার পাঠদান আপাততঃ বন্ধ রয়েছে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলো উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্য ভানু (১০)।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক শিক্ষকরা হলেন, মাদরাসার মুহতামিম মাও. মো. আসাদুজ্জামান, রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেন।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছে। পরে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাদরাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাও. মো. আসাদুজ্জামান ইসলামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নম্বর ৫১১।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ওই তিন শিক্ষার্থী ১০ সেপ্টেম্বর রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রোববার ভোররাতে শিক্ষকরা ফজরের নামাজের জন্য তাদের ডেকে তোলে। অন্য ছাত্রীদের মতোই নিখোঁজ শিশুরাও নামাজের প্রস্তুতি নেয়। নামাজের পর তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ইসলামপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান মোড়ল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিখোঁজ মীম আক্তারের মা হাসিনা বেগম জানান, মেয়েকে ১৫ দিন আগে মাদরাসায় রেখে আসি। ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাদরাসার হুজুরের মাধ্যমে জানতে পারি সে নিখোঁজ হয়েছে।
নিখোঁজ মনিরা খাতুনের বাবা মনোয়ার হোসেন জানান, মেয়েকে ৯ দিন আগে মাদরাসায় দিয়ে আসি।
এছাড়া নিখোঁজ সূর্য ভানুর বাবা সুরুজ্জামান জানান, ১৫ দিন আগে মেয়েকে মাদরাসায় রেখে আসি।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, তাদের সন্ধান পেতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদরাসার মুহতামিম মাও. মো. আসাদুজ্জামানসহ চার শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মাদরাসার পাঠদান আপাততঃ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সোনালীনিউজ/এসএন
আপনার মতামত লিখুন :