বরগুনা : বরগুনার আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে নুরুল ইসলাম নামে এক কৃষক খুন হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আলানুর মুন্সি ও তার মা আলেয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর মুন্সির মা আলেয়া বেগম চাচাতো ভাসুরের ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগমের কাছ থেকে গত বছর ১০ কেজি চাল ধার নেন। ওই চাল গত এক বছর ধরে পরিশোধ করেনি আলেয়া।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাচি শাশুড়ি আলেয়া বেগমের কাছে ওই চাল ফেরত চাইতে যান রানী বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হন আলেয়া। তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর ১৫ মিনিট পর আলেয়ার ছেলে আলানুর মুন্সি, নাতী সাগর মুন্সি ও জামাতা খলিল সিকদার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুরুল ইসলামকে মারতে যান।
এ সময় নুরুল ইসলাম মুন্সির ছোট ভাই হাসান মুন্সি আলানুরকে শান্ত করেন। কিন্তু আলানুরের ছেলে সাগর মুন্সি দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে চাচা নুরুল ইসলাম মুন্সির পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন। পরে তারা পালিয়ে যান। আহত নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। ওই হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা হিমাদ্রী রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগম অভিযোগ করে বলেন, চাচি গত বছর ১০ কেজি চাল ধার নেন। ওই চাল এক বছরেও পরিশোধ করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে আমার তার কাছে ধার নেয়া চাল ফেরত চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তার ছেলে আলানুর, নাতি সাগর, জামাতা খলিল সিকদার, মেয়ে খালেদা ও আসমাকে পাঠিয়ে দেন। তারা এসে আমার স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হিমাদ্রী রায় বলেন, নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির পেটের পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলানুর মুন্সি ও তার মা আলেয়া বেগমকে থানায় আনা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এসএন
আপনার মতামত লিখুন :