উদ্বোধনের অপেক্ষায় লেবুখালী সেতু

  • বরিশাল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, ০১:২৫ পিএম
উদ্বোধনের অপেক্ষায় লেবুখালী সেতু

বরিশাল : অবশেষে বহুলপ্রতীক্ষিত পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) খুলে দেওয়া হচ্ছে আগামী মাসে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে এই সেতু।

পায়রা নদীর ওপর ১ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু চালু হয়ে গেলে মানুষ বরিশাল শহর থেকে এক ঘন্টার মধ্যে পটুয়াখালী জেলা সদর এবং নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দরে যেতে পারবে। মাত্র দুই ঘণ্টায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়ও যেতে পারবে মানুষ। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এক হাজার ৪৪৭ দশমিক ২৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মূল ব্যয়ের চেয়ে সাড়ে সাত গুণ বেশি।

এ ছাড়া প্রকল্পটি শেষ করতে নির্ধারিত সময়সীমার চেয়ে পাঁচ বছর বেশি সময় লেগেছে। প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দুর্বলতার ফলে সেতুর নকশায় বড় ধরনের পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, দীর্ঘ টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট সমস্যার কারণে সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষকে বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। আগামী মাসে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে। যদিও এখনো উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লেবুখালী এলাকার পায়রা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আরেকটি পদ্মা সেতুর মতো হবে। আগামী মাসে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তিনি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) বরিশাল অঞ্চলের অধীনে তিন জেলায় ১১টি সেতু ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। পায়রা সেতুর বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষও সওজ। চীনা প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন সেতুটি নির্মাণ করছে।

সূত্রমতে, সরকার ২০১২ সালের মে মাসে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে সেতু নির্মাণের প্রকল্পে অনুমোদন দেয়। বিদেশি অর্থায়নে নির্মিত প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪১৩ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পটি যৌথভাবে সরকার, কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু গত সাড়ে ৯ বছরে এ প্রকল্পের ব্যয় তিন বার সংশোধন করা হয়, সময়সীমা দুবার পিছিয়ে দেওয়া হয় এবং ছয়বার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন করা হয়। প্রকল্পের ব্যয় এখন বেড়ে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আনুমানিক মূল ব্যয়ের সাড়ে তিন গুণেরও বেশি।

প্রকল্প পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় (৯৮ শতাংশ) সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেতুটি উদ্বোধনের আগে তিনি অ্যাপ্রোচ সড়ক (বর্তমানে ৯৫ শতাংশ) নির্মাণ সম্পন্ন করবেন বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নদী শাসনের ৮৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস সময় লাগবে। তবে এতে সেতুটি সময়মতো খোলার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি আরও বলেন, চুক্তির মূল্য থেকে ৫২ কোটি টাকা বেঁচে যাবে বলে আশা করছেন তারা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!