আদালতে মামুনুল হক ও ঝর্ণা মুখোমুখি

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২১, ০২:৪৬ পিএম
আদালতে মামুনুল হক ও ঝর্ণা মুখোমুখি

ছবি : ধর্ষণ মামলায় আদালতে মামুনুল হকের

নারায়ণগঞ্জ : ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে মুখোমুখি হয়েছেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। সোনারগাঁ থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. শাহীন উদ্দিনের আদালতে তারা মুখোমুখি হন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রকিবুদ্দিন আহমেদ সাক্ষ্যগ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিতে বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা আদালতে উপস্থিত রয়েছেন। বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেসবাহ ও একেএম ওমর ফারুক নয়ন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুলকে। এর কিছুক্ষণ পরই জান্নাত আরা ঝর্ণা আদালতে আসেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে মামুনুল হককে।

এরআগে ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক একটি মামলা দায়ের করেন। তার কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা দায়ের করেন। ৬টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।

পরে ৩০ এপ্রিল সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা। যাকে মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমএস

Link copied!