ঝালকাঠি : সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও এক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেছে তার পরিবার। নিহত আব্দুল হক নরসিংদির হাইমারা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ নিয়ে বরগুনায় ফেরেন আব্দুল হকের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার।
নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, আমার স্বামী ঢাকার একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আমরা গত কয়েকদিন ধরে বরগুনার আমতলার পাড় এলাকায় আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম। স্বামীর সঙ্গে আমি ও আমার দুই মেয়ে সাদিয়া (৭) ও ফাহমিদা (২) এমভি অভিযান-১০ এ বরগুনায় আসছিলাম।
রোকেয়া আরও বলেন, গত চারদিন আমি আমার মেয়েদের নিয়ে বরগুনা-বরিশাল ও ঝালকাঠির হাসপাতালে, মর্গে ঘুরে বেড়িয়েছি তবুও আমার স্বামীর কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। আজ টিভিতে তার ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করি। মরদেহ কিছুক্ষণ আগে বরগুনায় আনা হয়েছে। হস্তান্তর করলেই মরদেহ নিয়ে শ্বশুরবাড়ী নরসিংদীতে রওয়ানা দেব।
তিনি বলেন, ৫ দিন পর হলেও বাবার মরদেহ খুঁজে পেলো আমার মেয়েরা। শোকের মধ্যে এটাই একটু সান্ত্বনা।
এবিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ঝালকাঠি থেকে জানানোর পর আমরা গিয়ে মরদেহ নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়াও আহত রয়েছেন শতাধিক যাত্রী, নিখোঁজও আছেন অনেকে।
সোনালীনিউজ/এসএন
আপনার মতামত লিখুন :