নোয়াখালী : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সত্যতা যাচাইয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কার্যালয়ের বিরুদ্ধে। তবে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন ছিল। এতে আট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন মোট ৪৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বেশ কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, কোনো ধরনের নিয়ম না থাকলেও মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এনআইডির অনলাইন যাচাই কপি জমা দিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। ওই যাচাই কপি নিতে প্রত্যেককে তার কার্যালয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরহাজারী ইউনিয়নের এক মেম্বার প্রার্থী বলেন, তার নিজের ও প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারী তিনজনের এনআইডির অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে। এভাবে সব প্রার্থীকে টাকা দিয়ে এই কপি সংগ্রহ করতে হয়েছে।
নির্বাচন কার্যালয়ের একজন কর্মচারী জানান, এনআইডির প্রতিটি অনলাইন যাচাই কপির জন্য ১১৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। তবে কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশনা ছিল ১৫০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। তবে ওই টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে কি না তা তাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্মার্টকার্ডে ১০ সংখ্যা থাকায় ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বরের জন্য যাচাই কপি নিতে বলা হয়েছিল। তবে এজন্য কেউ টাকা নিয়েছে কি না আমি জানি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি দিতে বলা হয়নি। শুধু ফটোকপি দেওয়ার নিয়ম। কেউ অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জে আট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন, সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদে ৮৬ জন ও সাধারণ মেম্বার পদে ৩২৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সোনালীনিউজ/এসএন
আপনার মতামত লিখুন :