নীলফামারীতে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ 

  • নীলফামারী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২২, ০১:০৬ পিএম
নীলফামারীতে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ 

নীলফামারী: কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। সেই সাথে হিমেল বাতাসে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এ জেলার দরিদ্র মানুষজন। মেঘলা আকাশ আর কুয়াশার কারণে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি এই জেলায়। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন বাহিরে বের হতে না পেরে পড়েছেন দুর্ভোগে। বিশেষ করে ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষা গ্রাম ও চরের মানুষজন সবচেয়ে বেশী বেকায়দায় পড়েছেন। শীত নিবারন করতে গরম কাপড় সংগ্রহে নিম্ন আয়ের মানুষরা পৌরসভা মাঠের পুরানো কাপড়ের বাজারে ভীড় করছেন। সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের পুরাতন ষ্টেশন এলাকার ফেরিওয়ালা খলিল হোসেন জানান গত দু’দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজে যেতে পারিনি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান শনিবার নীলফামারীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় বিমানবন্দরে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগবালাই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়ছে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। নীলফামারী জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. গোলাম রসুল রাকি জানান, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে। প্রতিদিন আউটডোর ও ইনডোরে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল আউয়াল বলেন, শীত বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে তিন থেকে চার গুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। 

সোনালীনিউজ/এ/এসআই

Link copied!