ঢাকা: কেরানীগঞ্জে মাছ কাটা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া সেই ফাহমিদা আক্তার মারা গেছেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদরর্শক) বাচ্চু মিয়া।
এর আগে রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা এলাকার একটি টিনশেড বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এসময় স্ত্রীর শরীরের আগুন নেভাতে গিয়ে স্বামী পারভেজ খানের হাতের আঙুল সামান্য দগ্ধ হয়।
স্বামী পারভেজ খান জানান, তিনি লঞ্চের লস্কর হিসেবে চাকরি করেন আর তার স্ত্রী ফাহমিদা পোশাক কারখানার শ্রমিক। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
রোববার বিকেলে বাজার থেকে মাছ আনার পর তা কাটা নিয়ে তাদের মাঝে তর্ক হয়। এ সময় স্ত্রীকে একটি থাপ্পড় দেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর ফাহমিদা রান্না ঘর থেকে কেরোসিন এনে নিজের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে পারভেজ আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তার শরীর ঝলসে যায়। পরে দ্রুত তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছিলেন।
সোনালীনিউজ/এম
আপনার মতামত লিখুন :