খুলনা : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করেছে আইনশৃঙ্খ রক্ষাকারী বাহিনী। পাঁচটি ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলোর আওতায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২৮৯টি। এবার নির্বাচনে ১৬১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ১২৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেএমপি। সে অনুযায়ী ৫৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
তালিকা অনুযায়ী ৪, ৬, ৭, ১০ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাদে অন্য সব কেন্দ্র রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়। তবে ১৩, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোনো কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই তিন ওয়ার্ডে ২৩টি কেন্দ্র রয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৬টি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৯টি, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১২টি ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ওই ৫টি ওয়ার্ডের ৪০টি ভোটকেন্দ্রের সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
এর বাইরে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি কেন্দ্রের ৬টি, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি কেন্দ্রের ১টি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্র ৪টি, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৬টি কেন্দ্রের ৩টি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৫টি কেন্দ্রের ২টি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩টি কেন্দ্রের ৯টি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭টি কেন্দ্রের ৫টি, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি কেন্দ্রের ৪টি, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রের ৪টি, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭টি কেন্দ্রের ৩টি, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩টি কেন্দ্রের ১০টি, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ কেন্দ্রের ৫টি, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১০টি কেন্দ্রের ৪টি, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি কেন্দ্রের ৬টি, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ১০টি কেন্দ্রের ৫টি, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি কেন্দ্রের ৬টি, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি কেন্দ্রের ৩টি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬টি কেন্দ্রের ১০টি, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের ৬টি, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি কেন্দ্রের ৩টি, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের ৮টি ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রের ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা বলেন, প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতি ৩ কেন্দ্রের জন্য একটি করে মোবাইল টিম কাজ করবে। ২০টি মোটরসাইকেল থাকবে। ২টি মোটরসাইকেলে ৪ জন করে ক্রস পেট্রোল করবে। স্ট্যান্ড বাই পার্টি থাকবে ২০টি। প্রতি টিমে ৩৫ জন পুলিশ ও ২০ জন ব্যাটেলিয়ন সদস্য নিয়ে ৫টি রিজার্ভ টিম থাকবে।
এদিকে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার, সদস্যদের বহনকারী যানবাহন মহানগরীর সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। বৃদ্ধি করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। নির্বাচন উপলক্ষে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
এবারের কেসিসি নির্বাচনের মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) নির্বাচন করছেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :