খুলনা : রাত পোহালেই খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেখা মিলছে। দুই হাজার সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে খুলনা নগরী।
রোববার (১১ জুন) সকাল ১০টায় খুলনা পুলিশ লাইনের মাঠ থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুলিশ, আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে স্ব স্ব কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এছাড়াও প্রিজাইডিং অফিসারদের মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে। আজ খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার, সদস্যদের বহনকারী যানবাহন মহানগরীর সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। বৃদ্ধি করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। নির্বাচন উপলক্ষে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা বলেন, প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতি ৩ কেন্দ্রের জন্য একটি করে মোবাইল টিম কাজ করবে। ২০টি মোটরসাইকেল থাকবে। ২টি মোটরসাইকেলে ৪ জন করে ক্রস পেট্রোল করবে। স্ট্যান্ড বাই পার্টি থাকবে ২০টি। প্রতি টিমে ৩৫ জন পুলিশ ও ২০ জন ব্যাটেলিয়ন সদস্য নিয়ে ৫টি রিজার্ভ টিম থাকবে।
এবারের কেসিসি নির্বাচনের মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) নির্বাচন করছেন।
এদিকে, শনিবার মধ্যরাতে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। প্রার্থীরা শেষ সময়ে বিরামহীন প্রচার চালিয়েছেন। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে নগরবাসীর দ্বারে দ্বারে ছুটে ভোট প্রার্থনা করেছেন তারা। পথসভা, কর্মীসভা ও গণসংযোগসহ নানা উপায়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, এবার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রসহ নগরীর সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি, পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট প্রায় সাত হাজার পাঁচশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের সামনে একটি করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকবে। এছাড়া এক হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ, কেসিসিতে এ বছর ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে তারা ভোট প্রদান করবেন।ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সহজ করতে এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :