ফরিদপুরে ড্রাগন চাষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বাজিমাত

  • ফরিদপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ১১:০৩ এএম
ফরিদপুরে ড্রাগন চাষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বাজিমাত

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ড্রাগন চাষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সাফল্য। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স পড়ুয়া তানভির আহমেদ করোনা কালীন সময় ৬০ শতাংশ জমির উপর ড্রাগন বাগনা করেন। এই বছর প্রায় লক্ষাধিক টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের ভদ্রকান্দা এলাকার রশিদ হাওলাদারের পুত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানভির  আহমেদ এই বাগনটি করেছেন।  তার বাগান দেখে এলাকার শিক্ষিত যুব সমাজ কৃষিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

এই বিষয়ে তানভির আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় হঠাৎ করোনার কারনে বাড়ি চলে আসি। তখন অলস সময় কাটানো জন্য প্রচুর ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম । সেখানেই ড্রাগন চাষের বিষয়টি মাথায় আসে। পরবর্তীতে আরো এই বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটির পর প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ড্রাগন বাগান সাজিয়েছি। এই বছর ১ লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করেছি। আশা করি সামনের বছর উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এই মুহুর্তে ৭ শতাধীক ড্রাগন ফল গাছের চারা রয়েছে। বাগানটি আরো সম্প্রসারণ করার চিন্তা আছে।

ড্রাগন ফল পুষ্টি উপাদানে ভরপুর তাই তো একনজর ড্রাগন ফলের বাগান দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন শত শত দর্শনার্থীরা। 

এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার জীবাংশু  দাস বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এছাড়াও আমার চাচ্ছি অন্য যে সব ফসল গুলো আছে যেমন তেল, মশলা, ফল এই গুলোতে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে হাটছি।  খোরপশে কৃষি থেকে আমরা এখন কৃষি বানিজ্যিক করনের দিকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ড্রাগন ফলে অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল এতে প্রোটিন  আছে ক্যালসিয়াম আছে, ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেক্সে কিছু উপাদান রয়েছে। ড্রাগন ফল হার্ট ভালো রাখতে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল চাষ করলে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া যায় এবং খাবারের পুষ্টির মান নিশ্চিত করা যায়।

তিনি আরো বলেন, তানভির আহমেদ এর মতো শিক্ষিত উদ্যোক্তাদের কৃষিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। যারা কৃষিতে আসছেন তাদের কে আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সকল ধরণের পরামর্শ নিয়ে তাদের সাথে আছি এবং যে কোন সময় যে কোন পরামর্শ দিতে পারবো।

সোনালীনিউজ/এসআই

Link copied!