সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে আমন ধানের মাঠ

  • মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০১:২২ পিএম
সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে আমন ধানের মাঠ

ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। বীজের পোকার আক্রমণ হলেও বৃষ্টিতে ধুয়েমুছে গেছে। আমন ধানের ক্ষেত এখন গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করেছে। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন আবাদে কৃষকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আষাঢ় মাসের মাঝামাঝিতে আমন ধান চাষ করার নিয়ম থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় তা পারেননি কৃষকরা। ধান রোপণ নিয়ে কৃষক পড়ে বিপাকে। দেরিতে বৃষ্টি হলেও ইতোমধ্যে আমন রোপণ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ সম্পন্ন হয়ে বাড়তি অর্জনও সম্ভব হয়েছে। এবারও রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন।

সরেজমিনে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আমন ধানের ক্ষেত গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করেছে। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধানগাছ ভালো রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা ক্ষেতের ঘাস পরিষ্কার, সার ও বালাইনাশক ওষুধ প্রয়োগ ও পার্চিংসহ সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করছেন। মাঝে মধ্যে হচ্ছে বৃষ্টি, আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া রয়েছে অনুকূলে। তাই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষকরা। ধানের চারাগুলো থেকে কয়েকদিন পর বের হবে থোর। আর কিছুদিন পরই কৃষকদের আমন ক্ষেতে বের হবে মৌ মৌ গন্ধ।

কৃষক ইউনুছ ফকির বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় প্রথমদিকেই শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছি। এতে রোপণে খরচ বেড়েছে। চিন্তা হচ্ছে ধানের খরচ উঠাতে পারব কিনা।

আরেক কৃষক জহির সরদার বলেন, এবার তীব্র খড়ার কারণে দেরিতে রোপা আমন আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফসল এখন অনেক ভালো হয়েছে।

কৃষক ফাইজ উদ্দিন বলেন, কয়েকদিনেই ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ দেখা যায়।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুন  বলেন, ঝালকাঠি জেলায় এ বছর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫৫ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৬৪৮ টন। তিনি বলেন, ঝালকাঠি জেলায় প্রধানত স্থানীয় জাতের সাদা মোটা ১০ হাজার ১৩৪ হেক্টর, লাল মোটা ৩ হাজার ৫৯২ হেক্টর, মৌলতা ৩ হাজার ৮০৯ হেক্টর, দুধ কলম ২ হাজার ১৯৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এছাড়াই উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের বিআর ১১, বিআর ২৩, ব্রি ৪১, ব্রি ৪৪, ব্রি ৫২, ব্রি ৫৭, বি ৭৭ জাতের ধান আবাদ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝালকাঠিতে বীজ মাজরা পোকায় আক্রমণ করলেও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তা ধুয়ে নেমে গেছে। তিনি বলেন এ বছর আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে।

সোনালীনিউজ/এআই/এসআই

Link copied!