সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে ২০ শতক জমি ও ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি মাদ্রাসায় নিরাপত্তাকর্মী পদে আবু ত্বহা নামে এক ব্যক্তিকে চাকুরী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের হরিনাহাটা দাখিল মহিলা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি টিএম মঞ্জু ও মাদ্রসা সুপার ফরিদুল ইসলামের বিরুরদ্ধ।
নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি জানার পরেও শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ডিজি প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে আবু তোহাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশও করেছেন। যা নিয়ে বহুলী ইউনিয়নে নানা আলোচনা-সমালোচনর সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার হরিনাহাটা দাখিল মহিলা মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মীর জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পাশ্ববর্তী খাগা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে আবু ত্বহাসহ ১৩ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের পর আবু ত্বহা চাকুরীর জন্য সভাপতি মঞ্জুর কাছে তদবির করেন। এ সময় মঞ্জু ও মাদ্রসা সুপার চাকুরীর জন্য ২০ শতক জমি ও ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন। দাবীর প্রেক্ষিতে আবু ত্বহা ও তার স্বজনরা ২৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ রেজিষ্ট্রি অফিস গিয়ে তিনি মাদ্রাসার নামে ২০ শতক জমি লিখে দেন। একই সাথে সভাপতি মঞ্জু ও সুপারকে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হবার পরও পরীক্ষা স্থগিত হয়নি। বরং শুক্রবার সকালে মাদ্রাসায় স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে আবু ত্বহাকে নিয়োগের জন্য কর্মকর্তাগন সুপারিশ করেছেন। ডিজির প্রতিনিধি আতিকুল ইসলাম ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা অর্থের বিনিময়ে ত্বহাকে সুপারিশ করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় অন্যান্য প্রার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
চাকুরীপ্রাপ্ত আবু ত্বহার মামী জানান, ভাগ্নে ত্বহার চাকুরীর জন্য ২০শতক জমি ও ৫ লক্ষ টাকা দেয়া হবে।
মাদ্রাসার সুপার ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রসার জন্য ২০ শতক জমি ও অফিস বাবদ খরচের আবু ত্বহার কাছ থেকে নিয়োগের আগেই কিছু টাকা নেয়া হয়েছিল। তবে স্বচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে আবু ত্বহাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি টিএম মুঞ্জু বলেন, প্রতিষ্ঠানের নামে কোন জমি নেই। তাই কবরস্থান সংলগ্ন ২০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়া হয়েছে। অফিস খরচ বাবদ ৫ লাখ টাকাও নেয়া হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।
ডিজির প্রতিনিধি উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মাদ্রাসর সভাপতি-সুপার জানেন। আমি কোন কিছু বলতে পারব না বলে-মুঠোফোন কেটে দেন।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা বলেন, ত্বহাকে নিয়োগের সুপারিশ করার পর জমি রেজিষ্ট্রি ও টাকা লেন দেনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখন বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনালীনিউজ/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :