মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ- ৩ আসনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে; পিটিয়ে আহত করা হয়েছে আরেকজনকে।
নিহত ডালিম সরকার (৩৫) এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক। আহত সোহেল মিয়াকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মুন্সীকান্দি গ্রামে নৌকার নির্বাচনি ক্যাম্পে ওই হামলার জন্য কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের অনুসারীদের দায়ী করছেন মৃণালের কর্মী-সমর্থকরা।
ভোটের তিন দিন আগে হামলা-হত্যার এ ঘটনায় পুরো মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তাকেই প্রার্থী করেছে ক্ষমতাসীন দল।
আর মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বড় ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লবের একদল কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল নিয়ে সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী বটতলায় যায়। তাদের একজন পিস্তল বের করে নৌকার ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
তাতে কেউ আহত না হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন এলাকায় ডাকাত পড়ার ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করা হলে স্থানীয় বাসিন্দা ও নৌকার সমর্থকরা মিলে হামলাকারীদের ওপর চড়াও হয়। তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক অয়ন দেওয়ান আহত হন। পরে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারলের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে বুধবার ওই এলাকায় উত্তেজনা চলে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামে নৌকার ক্যাম্পে আবার হামলা হয়।
আহত সোহেল মিয়া হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, কাঁচি প্রতীকের সমর্থক ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে আমাদের ক্যাম্পে হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলি চালায় তারা। ডালিমের গায়ে গুলি লাগার পর আমরা বাঁচাতে গিয়েছিলাম। তখন আমাকে বেধড়ক পেটায়। তাই তাকে হাসপাতালে নিতেও বিলম্ব হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গুলিবিদ্ধ ডালিম সরকারকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লব বা তার কোনো প্রতিনিধির বক্তব্য জানতে পারেনি।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :