গাজীপুর: সারা দেশেই রমজানের আগের দিনই মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যের দাম আচমকা দিগুণ বৃদ্ধি করেছে। এর প্রভাবে চরম বিপাকে পড়েছে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এক কথায় বলতে গেলে মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। এমনিতেই বর্তমানে বাজারে জিনিস পত্রের দাম চড়া থাকায় মনের ইচ্ছে মতো বাজার থেকে ভাল শাক-সবজি ও মাছ-মাংস কিনতে পার ছিলেন না নিম্নবিত্তের মানুষেরা।
এর মধ্যে রমজানের শুরুতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আরও কয়ক গুণ বেড়ে গেছে। এজন্য তাই বাজারে দামের লাগাম টেনে ধরতে না পেরে কিছুটা কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ফুটপাতকে বেছে নিয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এক কথায় বলতে গেলে এই রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসার স্থল হয়ে উঠেছে ফুটপাতের বাজার।
জানাগেছে,পবিত্র মাহে রমজান শুরুর আগের দিন। সোমবার ১১ মার্চ) সকাল থেকেই গাজীপুরের কাঁচাবাজার গুলোতে হঠাৎ করেই মুনাফা লোভী ব্যবসায়রীরা প্রতিটি পণ্যের দাম দিগুণের চেয়েও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অল্প বেতনে চাকরি জীবি ও নিম্ন মজুরি নিয়ে দৈনিক হাজিরাতে কাজ করা শ্রমিকরা। এজন্য তাই দ্রব্য মূল্যের যাতা কল থেকে বাঁচতে ফুটপাত বেছে নিয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
বিশেষ করে এ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন মিল কারখানায় কর্মরত যেসব শ্রমিকেরা ৭ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বেতন পান। এসব শ্রমিকরা বর্তমান বাজারে দ্রব্য মূল্যের কড়াঘাত সয়তে না পেরে বাধ্য হয়েই ফুটপাতের দোকান ও বাজার গুলোতে হুমড়ি খেয়ে ভিড় জমাচ্ছে।
সরেজমিনে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাক,সফিপুর ও শ্রীপুরের মাওনা এলাকার ফুটপাত ঘোরে দেখা গেছে,দ্রব্য মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায়।বাজারের মুদি দোকান গুলো ছেড়ে ফুটপাতের দোকান গুলোর দিকে নিম্নবিত্তের ব্যাপক উপস্থিত। মৌচাক এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে ফুটপাতের দোকানে মাছ কিনতে এসেছেন। মোছা.আকলিমা আক্তার। তিনি বলেন,তিনি একটি কারখানায় চাকরি করেন। তার বেতন ৭ হাজার টাকা। তিনি বলেন,তার ওভার টাইম খুব কম হয়। তাইলে ৭ হাজার টাকা দিয়ে কি ভাবে বাজার থেকে ভাল শাকসবজি কিনবো। তাই কম মুল্যে জিনিসপত্র কিনতে ফুটপাতের বাজারে এসেছেন।
আরমান আলী নামের এক ফুটকারখানার শ্রমিক বলেন, তিনি মৌচাক এলাকায় একটি খাদ্য সামগ্রী তৈরির কারখানায় ৭৫০০ টাকা বেতনে চাকরি করেন। রমজানের আগের দিনই বাজারে চাল,ড়াল, চিনি, লেবু ও ছোলা,লেবুর দাম আকাশচুম্বী বৃদ্ধি পেয়েছে। এতো বেশি দাম দিয়ে খেজুর,চিনি,লেবু, কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মনের আশাপূরণ কিছুটা পূরণের জন্য বাজার ছেড়ে ফুটপাতের বাজারে এসেছেন। তিনি আরও বলেন,জিনিসপত্রের দাম যদি আর না কমে। তাহলে আমাদের একমাত্র ভরসার স্থল হবে ফুটপাতের বাজার।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :