কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখের অসুস্থতার অজুহাতে কতিপয় ইউপি সদস্য তাঁর চেয়ারম্যানের পদ ছিনিয়ে নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এর আগেও তাঁরা এই প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়,এবার তাঁরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছে।
জানাগেছে,কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কিছুদিন আগে হঠাৎ করে অসুস্থ হই,এখন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী তদারকিসহ সমস্ত কার্য নিজেই সম্পাদিত করছি। ইউনিয়নের জনসাধারণ তার কাজে সন্তুষ্ট রয়েছেন।
এদিকে তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে, ক্ষমতা নেওয়ার জন্য তারা তাকে গুরুতর অসুস্থ ও অক্ষম দেখিয়ে বিশৃংখলা পরিস্থিতি তৈরি করতে কতিপয় মেম্বারদের হাত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ করেন। যে অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখকে অক্ষম দেখিয়ে চেয়ারম্যানের স্থলে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান আবু মুসাকে নিয়োগ দানের জন্য একটি আবেদন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে,চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ ভিডব্লিউবি বিতরণসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম সুচারু রূপে পরিচালনা করছেন।
এ সময় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, কিছুদিন আগে আমি অসুস্থ ছিলাম এখন আমি মোটামুটি সুস্থ অফিসের সমস্ত কাজ নিজেই করছি, আমার মেয়াদ থাকা পর্যন্ত আমি দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করে যাব। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত মেয়াদে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন লুৎফর রহমান বাবু সে সময়ও ইউপি সদস্য আবু মুসা অন্যদের সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেন।
ভিজিডি চাল নিতে আসা সুবিধাভোগী করিমন,আমেনা,মরিয়ম ও বাবু মিয়া জানান, চেয়ারম্যান এখন সুস্থ আছে আমরা চেয়ারম্যানের তদারকিতে আজকে ভিডব্লিউবি এর চাল সংগ্রহ করলাম।
ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল হক জানান, আমাদের চেয়ারম্যান সুস্থ রয়েছে অন্যান্য মেম্বাররা আবেদনের সই করলেও আমি সই করিনি।
ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সাজেদুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান মহোদয় এখন সুস্থ স্বাভাবিক আছে, নিয়মিত এসে অফিসের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান আবু মুসা জানান, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ অসুস্থ থাকার কারণে জনগণ হয়রানি হচ্ছে ,তাই দেখে সকল মেম্বার মিলে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, এ আবেদন পেয়েছি বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তিনি তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :