দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের অতি লোডশেডিংয়ে দুভোর্গে পরেছে এলাকাবাসী। দিন রাতে ২৪ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। একদিকে প্রচন্ড গরমে ছোট শিশুসহ নাজাহালে পড়ছে রোজাদারসহ সব বয়সের মানুষরা। অতি লোডশিডিংয়ে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। অপর দিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে।
রায়হান নামের একজন ব্যাক্তি বলেন, হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। একদিকে তীব্র গরম আর বিদ্যুতের বারবার যাওয়া-আসাতে বিদ্যুৎ চালিত জিনিসপত্র, টিভি, ফ্রিজ নিয়ে খুব বিপদে আছি আমরা। মাঝে মধ্যে ফ্রিজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় রবফ গলে পানি বের হচ্ছে।’ বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশিভাগ কম বয়সের শিশুদের। ২৪ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। আবার বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসতেছে। বিল পরিশোধ না করলে লাইন কেটে দিয়ে যায়।
হিলির মাহি সাহেব বলেন, একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে রাতে ঘুমানো যায় না। আবার যখন ইফতার করবো, সেহরি করবো এবং তারাবির নামাযের সময়ও বিদ্যুৎ থাকেনা। ছোট বাচ্চাদের সারারাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘন্টার পর আসে।
সজিব নামের এক ছাত্র বলেন, অতি লোড শেডিংয়ের কারনে আমাদের ঠিকমতো লেখাপড়া হচ্ছেনা। যেই সময় আমরা পড়তে বসবো সেই সময়ই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে।
হিলি পল্লি বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস এজিএম বিশ্বজিত সরকার বলেন, হিলিতে বিদ্যুতের চাহিদা ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট আর বরাদ্দ মাত্র আড়াই থেকে তিন মেগাওয়াট। এবং হাকিমপুর উপজেলায় পল্লি বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে ৩৮ হাজারের উপরে। চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে।
এসআই
আপনার মতামত লিখুন :