বরগুনা: বরগুনার তালতলী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এইচ এম মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ তরিঘরি করে উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করেছে।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। চিঠিতে তালতলী উপজেলা কমিটির মেয়াদ না থাকায় বিলুপ্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা। ভিডিওর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্তদীন মামলার বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবেনা, তবে এইচ এম মিনহাজুল আবেদীন মিঠু সংগঠনের কেউ নন। অপরাধ করলে তার শাস্তি ভোগ করবে তার দায় দায়িত্ব ছাত্রলীগ বহন করবে না।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, শীঘ্রই তালতলী উপজেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু করা হবে।
উল্লেখ্য গত ১৪ এপ্রিল এইচ এম মিনহাজুল আবেদীন মিঠু তালতলী থানার একটি পর্নোগ্রাফি মামলার সাক্ষী হয়েছেন। মামলার ১নং আসামি ইসরাত জাহান লামিয়ার সঙ্গে তারও একটি ভিডিও রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আসামি লামিয়ার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার তিন মিনিটের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা গেছে।
এই ঘটনায় বরগুনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি আবেদন হলে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ করে। গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক জ্ঞান কুমার দাস তদন্তে গিয়ে পু্লিশ সুপারের কাছে আবেদনের প্রাথমিক সত্যতা মিললে এবং আলামত জব্দ করতে সক্ষম হন।
পরবর্তীতে ইসরাত জাহান লামিয়ার কাছে ভুক্তভোগী একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তালতলী থানায় বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখায় প্রেরণ করেন।
এই ঘটনার এজাহার ভুক্ত দুই আসামিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার ১নং আসামি ইসরাত জাহান লামিয়া। সে জেলার আমতলী উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের বাহাদুর আকনের মেয়ে। ২ নং আসামি জাহিদুল ইসলাম সবুজ। সে তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দন তলা গ্রামের শহীদ ফকিরের ছেলে। আসামিরা ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করছে।
ভিডিও ভাইরাল ঘটনায় তালতলী উপজেলায় নিন্দার ঝড় বইছে। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পক্ষে বিপক্ষে এনিয়ে চলছে আলোচনা সমলোচনা। অনেকের দাবি প্রকৃত ঘটনার সৃষ্টিকারী তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :