মোরেলগঞ্জে বিয়েবাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট

  • বাগেরহাট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
মোরেলগঞ্জে বিয়েবাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিয়েবাড়িতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দুই পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে ঘরের মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  

এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার বানিয়াখালী বাজার সংলগ্ন এলাকার হাবিবুর রহমান ও নারায়ণ চকিদারের পরিবারের এই ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে অন্তত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৬৫), মো. শাহ আলম (৭০), ফিরোজা বেগম (৫০), আঁখি আক্তার (২০), মারিয়া আক্তার (২২), হাদান হাওলাদার (২৮), আশরাফুল (১২), নাইম হাওলাদার (২৬), শাফিকুল (১০), ফেরদাউসি আক্তার (৩০), হিরা আক্তার (২০), শাফিয়া আক্তার (২০) এবং নারায়ণ চন্দ্র পরিবারের নারয়ন চন্দ্র (৭০), শ্যামলী রানী (৬০), জীবন (৩২) শম্পা (২৭)। এদের মধ্যে অন্তত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাবিবুর রহমানের পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে নববিবাহিত মেয়ে জামাইসহ আত্মীয় স্বজন নিয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বানিয়াখালী বাজার সংলগ্ন হাবিবুর রহমার তোতা মিয়ার পরিবারে ছিল উৎসবের আমেজ। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা খাবারের সঙ্গে চেতনা নাশক মিশিয়ে দেন। চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নববিবাহিত জামাই-মেয়েসহ পরিবারের ১২ সদস্য। চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে হাবিবুর রহমানের প্রতিবেশী নারায়ণ চন্দ্রের বাড়ির চার সদস্য অসুস্থ হয়েছেন। দুই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও টাকা খোয়া গেছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পরিবারগুলো।

হাবিবুর রহমানের নিকট আত্মীয় মো. মনির তালুকদার বলেন, ১৫ এপ্রিল হাবিবুর রহমানের মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। আমার ছেলে ও ছেলের বউসহ বেশকিছু আত্মীয় স্বজনরা হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ছিল। সকালে অচেতন অবস্থায় সবাইকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বাড়ির সবকিছু লুটে নিয়েছে তারা। স্বর্ণালংকার ও নগদ পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ছিল ঘরে কিছু পাওয়া যায়নি।  

নারায়ণ চন্দ্রের ছেলে জীবন চন্দ্র বলেন, কীভাবে কি হল জানি না। বাবা-মা এখনও সুস্থ হয়নি। আমরা এ ঘটনার বিচার ও মালামাল ফেরত চাই।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছউদ্দিন বলেন, ঘটনা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইএ

Link copied!