তরুণীর প্রেমের জাল; ডিবি-সাংবাদিক পরিচয়ে সর্বস্ব লুট, গ্রেপ্তার ৭

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি : | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
তরুণীর প্রেমের জাল; ডিবি-সাংবাদিক পরিচয়ে সর্বস্ব লুট, গ্রেপ্তার ৭

কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এক প্রতারক চক্র। এই ঘটনায় মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার সুবর্ণপুর এলাকার সৈয়দ আব্দুর রউফ এর ছেলে সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭), বালুতুপা গ্রামের মোঃ ইসহাক মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (৪০),  একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ কবির হোসেন (২৮), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের মোঃ আলী আজগরের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম, চান্দিনা উপজেলার কেশরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসনুবা আক্তার (২৩) ও লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মোঃ মোস্তফা কামালের ছেলে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (২৮)। 

শনিবার (৪ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। 

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, প্রতারক চক্রটি টার্গেট করে লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মোঃ মারুফকে (ছদ্মনাম)। একপর্যায়ে চক্রের সদস্য তরুণী তাসনুবার মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রতারক তাসনুবার অশ্লীল ও অনৈতিক কাজের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে, ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের ভয় দেখিয়ে তারা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। 

এখানেই শেষ নয়। ঘটনার পর ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে আগমন ঘটে আরো কয়েকজন প্রতারকের। ভুক্তভোগীকে থানায় মামলা দেওয়ার ও ভুয়া মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। 

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে শনিবার রাত দেড়টায় আসামী সৈয়দ আয়াত উল্লাহকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে ভুয়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক (৩৬) ও মোঃ আবদুর রহিম (৪২), মোঃ শাখাওয়াত হোসেন (২৮), ইমরান হোসেন (৪০), কবির হোসেন (২৮) ও একমাত্র নারী সদস্য তাসনুবা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে, অলিখিত ৭টি স্ট্যাম্প, ভিকটিমের স্বাক্ষরিত ০৭ টি চেক, চাঁদাবাজির নগদ ২৪ হাজার টাকা ও অপরাধে ব্যবহৃত ০১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান রাফি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া সহ প্রমুখ। 

আইএ

Link copied!