মিরসরাই: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালে উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন লণ্ডভণ্ড হওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন পার করছেন প্রায় দেড়লাখ গ্রাহক। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিদ্যুতের লক্ষাধিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির উপর চাপ বাড়ায় সংকট দেখা দিয়েছে মোমবাতির। স্থানীয় অনেক দোকানে প্রয়োজনীয় ব্যবহারের মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না।
আবুতোরাব বাজারের ব্যবসায়ি আশরাফুল জানান, মোমবাতি স্টকের চাইতে চাহিদা বেশি হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সারেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অনেক জায়গায় গাছ পড়ে বসতঘরের ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে মৎস্য প্রকল্পের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ। গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষয়ক্ষতিতে ভাবনার ভাজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
এরআগে, রোববার (২৬ মে) দিনগত মধ্যরাত থেকে রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হয়। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গতকাল সোমবার ভোর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার মৎস্য চাষি নিজাম উদ্দিন জমিদার বলেন, ফেনী নদীর জোয়ারের পানিতে আমাদের প্রকল্পের ৫০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে।
তামরীজ একাডেমির পরিচালক সাইফুল্লাহ বলেন, গাছ পড়ে আমার একাডেমির ভবন ভেঙে গেছে। এতে স্কুল কার্যক্রম বন্ধ আছে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী উদয় দাশ গুপ্ত জানান, ঝড়ো বাতাসে খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় দেড়লাখ গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতি হওয়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, এরইমধ্যে বোরো ধান কাটা শেষ। তবে জলোচ্ছ্বাসে গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়ার জন্য ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অনেক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির ক্ষতি হয়েছে, সেজন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :